ফেসবুক সম্পর্কে ১২টি মজার তথ্য

বিশ্বের সর্ববৃহৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি ১২ বছরে পা দিল। ফেসবুকের দ্বাদশ জন্মবার্ষিকীতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ফেসবুক সম্পর্কিত ১২টি মজার তথ্য প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীনের জনসংখ্যার থেকে ফেসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন বেশি। চলুন, দেখে নিই ফেসবুক সম্পর্কিত মজার সেই ১২টি তথ্য:
ভারত ফেসবুকের অন্যতম বড় বাজার
ফেসবুকে বর্তমানে ১.৬ বিলিয়ন মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী আছে। আর এর মধ্যে শুধু ভারতেই ২০১৫ সালের মাঝামাঝিতে ১২৫ মিলিয়ন মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন। ২০১৬ সাল নাগাদ এটি ১৬১ মিলিয়ন ছুঁবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে, মুনাফা অর্জনে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার এখনও শীর্ষে
২০১৪ সাল পর্যন্ত ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডাতে ফেসবুক নেটওয়ার্কের ৪৫ শতাংশ অর্থাৎ ৭৫৭ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল। ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বাকি এলাকার থেকে ঐ অঞ্চলগুলোতে আরও ৩৯ শতাংশ ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পায়। যাই হোক, ফেসবুকের মুনাফার বেশিরভাগই আসে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার দেশগুলো থেকে। ঐ সব অঞ্চল থেকে ফেসবুকের রেকর্ডসংখ্যক ৭৫ শতাংশ মুনাফা আসে। ফেসবুক গত মৌসুমে বিজ্ঞাপন থেকে ৯৭ শতাংশ অর্থাৎ, ৫.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মুনাফা আয় করে।
একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর গড় মূল্য
সম্প্রতি ফেসবুক এর আয় সম্বলিত প্রতিবেদনে জানায়, বিশ্বের প্রত্যেকটি ফেসবুক ব্যবহারকারীদের থেকে প্রত্যেক মৌসুমে ৩.৭৩ মার্কিন ডলার আয় করছে প্রতিষ্ঠানটি।
তবে সব ব্যবহারকারী সমান নয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রত্যেক মৌসুমে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার ব্যবহারকারীদের থেকে ফেসবুকের আয় ১৩.৫৪ মার্কিন ডলার যেখানে এশিয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের থেকে ফেসবুকের আয় ১.৫৯ মার্কিন ডলার।
ফেসবুক সিনেমা
ফেসবুকের উৎপত্তি নিয়ে ২০১০ সালে নির্মিত সিনেমা ‘দ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক’ সেরা চলচ্চিত্র এবং সেরা পরিচালকসহ চারটি গোল্ডেন গ্লোব জেতে। তাছাড়া সেরা স্ক্রিনপ্লে, মৌলিক স্কোর এবং ফিল্ম এডিটিংয়ে অস্কার জেতে সিনেমাটি।
২০০৮ সালে শীর্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হয়
২০০৯ সালের জুন মাসে মাইস্পেসকে সরিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেসবুক।
প্রথম বিনিয়োগ
পেপাল সহ-প্রতিষ্ঠাতা পিটার থিয়েলের কাছ থেকে ফেসবুক প্রথম ৫ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ পায়।
গুগলকে ফিরিয়ে মাইক্রোসফটকে গ্রহণ
২০০৭ সালে মাইক্রোসফটের কাছে ১.৬ শতাংশ স্টেক শেয়ার বিক্রি করে ফেসবুক। তবে সার্চ জায়ান্ট গুগলের ঐ একই ধরণের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে প্রতিষ্ঠানটি। ফেসবুকে বিনিয়োগের মাধ্যমে গুগলের সাথে প্রতিদ্বন্দিতায় ভালো জোর পায় মাইক্রোসফট। ফেসবুককে গুগলের সহযোগী হিসেবে কাজ করার প্রস্তাবও প্রত্যাখান করে ফেসবুক। গুগলের তৎকালীন চেয়ারম্যান এরিক শিমিট এ তথ্য জানান।
স্ন্যাপচ্যাটকে কিনতে পারেনি ফেসবুক
২০১৩ সালের নভেম্বরে স্ন্যাপচ্যাটকে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে অধিগ্রহণ করার প্রস্তাব দেয় ফেসবুক। কিন্তু স্ন্যাপচ্যাট এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। প্রতিষ্ঠানটির তিনটি বড় বড় অধিগ্রহণের মধ্যে আছে ইনস্টাগ্রাম (১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, এপ্রিল ২০১২), হোয়াটস অ্যাপ (১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারী) এবং অকুলাস ভিআর (২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, মার্চ, ২০১৪)
সংবিধান সংশোধনীতে ফেসবুকের আশ্রয় নেয় আইসল্যান্ড
২০১১ সালের জুন মাসে ইউরোপের অন্যতম জনবিরল দেশ আইসল্যান্ড তাদের দেশের জনগণের ফেসবুক এবং টুইটারে দেওয়া মতামতের উপর ভিত্তি করে সংবিধান সংশোধন করে। উল্লেখ্য কোন কমেন্ট বা পোস্টে @[4:0} লিখলেই মার্ক জাকারবার্গের নাম চলে আসে।
সিইও শর্টকাট
ফেসবুক ইউআরএল-এর পিছনে ৪ লিখলেই সেটি সরাসরি ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের ফেসবুক ওয়ালে নিয়ে যায়। ফেসবুকে লগ-ইন না করলেও এই ইউআরএলে ঢুকে জাকারবার্গের অ্যাকাউন্ট দেখা যায়।
ফেসবুকের সম্মানহানিমূলক ডোমেইন নামগুলো ফেসবুকের আওতায়
ফেসবুকের মানহানি করে এমন সব ডোমেইন নাম যেমন: ‘আই হেট ফেসবুক ক্রেডিটস’, ‘আই হেট দ্য ফেসবুক লাইক বাটন’ এবং ‘লাইক বাটন সাকস’ ফেসবুকের নথিভুক্ত।
ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ বর্নান্ধ
জনশ্রুত আছে জাকারবার্গ লাল-সবুজ রঙের পার্থক্য বুঝতে পারেন না। আর এ কারণেই ফেসবুকের প্রাথমিক রং নীল। ২০১০ সালে নিউ ইয়র্কার ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক সাক্ষাতকারে জাকারবার্গ জানান যে, নীল রঙটিই তার কাছে সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
মন্তব্য চালু নেই