ফুল গাছে ফললো জামরুল ফল! দেখতে ভিড় জমছে বাড়িতে, তাজ্জব বাড়ির বাসিন্দারাও
জবা গাছে লাল, সাদা, গোলাপি নানা রংয়ের জবাফুল ফুটবে, তা স্বাভাবিক ঘটনা। তাই বলে জবা গাছে জামরুল? না, ফোটোশপের কারসাজি নয়। অন্যরকম কারচুপিও এখনও পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি। আবার এই দৃশ্য চোখে দেখলে বিশ্বাস করাও কঠিন।
দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়ার সাহাপাড়ার বাসিন্দা কৌশিক মান্নার বাড়িতে বেশ কয়েকটি জবা গাছ রয়েছে। বাড়িতে মা কালীর মূর্তিতে রোজ পুজো হয়। তাই বাড়িতে একাধিক জবা গাছও রয়েছে। তার মধ্যে একটি দশ বছর পুরনো জবা গাছে দু’-তিন দিন আগে তিনটি জামরুল ফলে থাকতে দেখেন কৌশিকবাবু।
সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাড়ির অন্যান্য লোকদেরও ডেকে এনে এই অবাক কাণ্ড দেখান কৌশিকবাবু। খবর পেয়ে বাড়িতে আত্নীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদের ভিড় বাড়তে থাকে জবা গাছে জামরুল দর্শনের জন্য।
অবাক এই কাণ্ড দেখতে আমাদের প্রতিনিধিও কৌশিকবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু দৃশ্যত কোনও কারসাজি প্রমাণ করা যায়নি। আবার চোখে দেখেও এই দৃশ্য বিশ্বাস করা কঠিন।
কৌশিকবাবুর বন্ধু অরূপ চৌধুরী বোটানির অধ্যাপক। তিনি টালিগঞ্জের বাসিন্দা। তাঁকেও বিষয়টি জানান কৌশিকবাবু। দু-একদিনের মধ্যেই তিনি আরও দুই বিজ্ঞানীকে নিয়ে কৌশিকবাবুর বাড়িতে এই রহস্যভেদ করতে আসবেন। প্রাথমিকভাবে তিনি জানিয়েছেন, সামনে থেকে না দেখে এর ব্যাখ্যা দেওয়া মুশকিল। ফল গাছে ফুল হলেও ফুল গাছে ফল হওয়ার নজির গোটা বিশ্বে নেই
অরূপবাবু জানিয়েছেন, প্রত্যেক ফুলগাছেই ছোট ফল হয়। সেই ফলই হয়তো কোনওভাবে জামরুল আকারে বড় হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওই ফল খেলে হয়তো তার স্বাদ জামরুলের মতো হবে না।
আপাতত ওই ফলগুলি যাতে গাছ থেকে ছেঁড়া না হয়, কৌশিকবাবুকে সেই পরামর্শ দিয়েছেন ওই বোটানির অধ্যাপক। সামনে থেকে দেখেই এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়া যাবে বলে দাবি করেছেন বোটানির অধ্যাপক অরূপবাবু।ফুল গাছে ফলল জামরুল ফল! এটি দেখতে পাড়া-প্রতিবেশীরা ভিড় জমাচ্ছে বাড়িতে, এত তাজ্জব বাড়ির বাসিন্দারাও। -এবেলা
মন্তব্য চালু নেই