বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

ফুলবাড়ীতে চলছে আমন ধান কাটা-মারাই ও নবান্ন উৎসব

খাদ্য শষ্যের ভান্ডার হিসাবে খ্যাত উত্তরের জেলা দিনাজপুর। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের দিগন্তজুড়ে ফসলের মাঠ। চারদিকে বর্তমানে সোনার সমারোহ। ধন-ধান্যে পুষ্পে ভরা, আমাদের এ বসুন্ধরা, কবির এ ভাষ্যটি বাস্তবে রুপদান করেছে ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষকেরা। রোপা আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে কয়েকটি ফুলবাড়ী উপজেলা। রোপা আমন ক্ষেত যেন তারুন্যের হাসি হাসছে। কৃষকদের মুখেও এক চিলতে হাসি। শীত আসার সাথে সাথে চলছে আমন ধান কাটা মারাই। চলছে অনেকের ঘরে নবান্ন উৎসবের আমেজ।

কৃষি বিভাগের কৃষি কর্মকর্তা, উপ-সহকারি কর্মকর্তারা আমাদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন আগাম জাতের ধান চাষ করে এ সাফল্যের কথা জানালেন উপজেলার কৃষকেরা।কৃষকেরা জানালেন, আমরা পোকা দমনের জন্য আলোর ফাঁদ, পার্চিং ও ইঁদুর নিধনের ফাঁদসহ ব্যবহার করছি আধুনিক পদ্ধতি। রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন দেখে সন্তুষ্ট কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১৬ হাজার ৫৮০ হেক্টর রোপা আমন জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। অর্জিত হয়েছে ১৬ হাজার ৬৫০ হেক্টর। বিগত সময় নানা প্রতিকূলতায় কৃষকদের যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে এবার কৃষক কোমর বেঁধে নেমেছে। শেষ পর্যন্ত কৃষক হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে সব জমিতে রোপা আমন আবাদ করায় লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। সরজমিনে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ঘুরে দেখাগেছে, এ বছর রোগবালাই তেমন নেই। দিগন্ত জুড়ে ফসলের মাঠে চারদিকে সোনালী বর্ণ ধারণ করেছে। বিভিন্ন আগাম জাতের ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। ইতি মধ্যে জেলার হাট-বাজারগুলোতে নতুন ধান উঠতে শুরু করেছে। মণ প্রতি ধান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬’শত টাকা থেকে ৭ শত টাকা।



মন্তব্য চালু নেই