ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার সুযোগ দেবে না বিএনপি
প্রহসনের নির্বাচন আখ্যা দিয়ে বিএনপি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে (পৌরসভা নির্বাচন) দলটি আওয়ামী লীগকে ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার সুযোগ দেবে না বলে জানিয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ; যদিও দলীয় প্রতীকে এই নির্বাচনের বিষয়ে জোর আপত্তি রয়েছে তার দলের। মওদুদ বলেছেন, সরকারকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তবে আমরা এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশে ফিরলেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও চলতি বছরের তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। ওই নির্বাচনে অংশ নেয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে এপ্রিলে বিএনপিপ্রধান খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘আমরা শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের দাবি করেছি। স্থানীয় নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের ওই দাবি নেই।’
‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে শনিবার সকালে চন্দ্রিমা উদ্যানে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে পুস্পমাল্য অর্পণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন।
বিএনপির সংলাপে বসার যোগ্যতা নেই- সড়ক পরিব্হন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে মওদুদ বলেন, কে কী বললো তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। বিএনপির জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার প্রক্রিয়া অব্যহত থাকবে।
খালেদা জিয়া কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, খুব শিগগির চেয়ারপারসন দেশে ফিরবেন।
মওদুদ বলেন, দেশে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলার চেতনা এখন ভূলুণ্ঠিত। যে গণতন্ত্র আমরা চর্চা করতাম সে গণতন্ত্র নেই বললেই চলে। এই হারানো গণতন্ত্র ফিরে পেতেই আমরা আন্দোলন করছি। সামনের দিনে এ আন্দোলন আরো জোরদার করা হবে এবং আন্দোলন চলবে।
৭ নভেম্বর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই দিনেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।একদলীয় শাসন ব্যাবস্থার অবসান ঘটিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। তাই এ দিনটি আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দীন খোকন, এজেডএম জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, আব্দুল লতিফ জনি, শামীমুর রহামান শামীমসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য চালু নেই