ফরিদপুরে তামাকের অবাদ চাষাবাদ

ফরিদপুরের ইশানগোপালপুর ইউনিয়নসহ বেশ কিছু এলাকায় গেলে আপনাকে অবাক হতে হবে মাঠের পর মাঠ ছেয়ে গেছে নেশা জাতিয় তামাক গাছ চাষে। কিন্তু এই ইউনিয়নটি ছিলো রবিশস্য উৎপাদন, বিপননে এই জেলার ভিতর অগ্যগন্য নাম হিসেবে বিবেচিত, এই রবি মৌসুমে ক্ষেতকে- ক্ষেত শস্যময় হয়ে ভরে উঠত রবিশস্য চাষে, সেখানে ক্ষেতের পর ক্ষেত তামাক গাছ চাষে ভরে গেছে পুরো এলাকা।

এই এলাকা আপনাকে মনে করিয়ে দেবে মেহেরপুর, কুষ্টিয়া অঞ্চলের তামাক চাষের কথা। ঐ সব এলাকায় যে ভাবে তামাক চাষ হয় মাঠের পর মাঠ ঠিক সেই ভাবে ফরিদপুরের  ডবল ব্রীজ, দূর্গাপুর, চাদঁপুর, চর দূর্গাপুর এলাকায় তামাক চাষ শুরু করেছে এখানকার কৃষকরা যার দায়িত্বে আছে বরাবরের মতোই বৃটিশ টোব্যাকো কোম্পানি। সকাল হলেই কৃষকরা চারা রোপনে ব্যাস্ত কেইবা চারাই পানি দেবার কাজে ব্যাস্ত, কিন্তু তারা অনেকেই  জানে না এই মহামূল্যবান জমির কতো বড় সর্বনাশ ডেকে আনছে এই তামাক চাষে।

কৃষকদের সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে জানা গেল তারা এ ব্যাপারে কিছইু জানে না, তারা জানে আগের মতো অন্য কিছু চাষ করে লাভবান হচ্ছেন না যে কারনে তারা এ চাষে উদ্যেগী হয়েছে কারন এই চাষ লাভজনক এবং নিরাপদ। এই লাভজনকের কারন খুজতে গিয়ে দেখা গেল বৃটিশ টোব্যাকো কোম্পানি কৃষকদের চাষের আগ থেকে যোগাযোগ রক্ষা করা টাকা পয়সা প্রদান বীজসহ সার এবং কৃটনাশক ঔষধ প্রদান করে থাকে যে কারনে কৃষকরা কোন কিছু বোঝার আগেই এই চাষে রাজি হয়ে যাই।

কুষ্টিয়া অঞ্চলে তামাক চাষ করতো এমন একজন কৃষক শুভ ঘোষ তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানালেন, আমি আগে তামাক চাষ করতাম এখন করি না কারন জানতে চাইলে তিনি বললেন তামাক চাষ করলে জমির উর্বরা শক্তি একদম কমে যাই তা ছাড়া জমির গুনোগত মান থাকেনা, ফলে জমি এক ফসলি জমিতে পরিনত হয়। দূর্গাপুর এলাকার কৃষক আকতার মল্লিক জানালেন, প্রতি শতাংশ জমিতে পাচঁ কেজি সার লাগে এটা প্রতি মাসে দুই বার কোন কোন ক্ষেত্রে তিন বার দেওয়া লাগে তা ছাড়া অনন্য ঔষধ তো রয়েছেই। এই হিসাব থেকেই বোঝা যাই জমির ভারসাম্য ক্ষমতা কোথায় গিয়ে দাড়ায়।

তিনি আরো বলেন এই ক্ষেতের চার পাশে বা ভিতরে গরু ছাগল ঘাষ খেলে সেই পশু বা  পাখি অসুস্থ হয়ে পড়ে বা মারা যাই। তিনি আরো জানান শুধু দূর্গাপুর এলাকায় শত শত বিঘা চাষ করা হয়েছে এবার।

আর একজন কৃষক গোপালপুরের আজিজ জানালেন তিন বার চাষ করা যাই তামাক তবে প্রথমবার চাষ ভালো হয় তারপর থেকে তেমন ভালো হয় না এ ভাবে প্রথমবার থেকেই জমি তার উর্বরা শক্তি হারাতে থাকে এক পর্যায় তেমন কোন ফলন এই জমিতে হয় না অনেক বছর।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর কৃষি বিভাগের উপ- সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আতিয়ার রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাদের দৃষ্টিতে এ চাষ মানা করে থাকি কারন কৃষকরা যারাই তামাক চাষ করেছে তারা খুব একটা লাভবান হয় নাই। তাছারা আমরা কৃষকদের নিরৎসাহিত  করে থাকি।  তবে তিনি মনে করেন তামাক চাষে ব্যালেন্স সার প্রয়োগ করতে হয় কিন্তু কৃষকরা না করার কারনে জমি তার উৎপাদন ক্ষমতা হারায় ।



মন্তব্য চালু নেই