ফরিদপুরে জমে উঠতে শুরু করেছে জসিম পল্লী মেলা

গত ১০ই জানুয়ারী শনিবার থেকে শুরু হয়েছে ফরিদপুরের পল্লী কবি জসিমউদ্দীনের ১১২তম জন্মোৎসব কে ধরে পক্ষকাল ব্যাপী ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী জসিম মেলা, মেলা চলবে ২৫শে জানুয়ারী রবিবার পর্যন্ত।

এই মেলা উপলক্ষে দেশ বিদেশ থেকে দর্শনার্থীদের ভীরে মেলা প্রাঙ্গন জমজমাট হয়ে উঠতে শুরু করেছে এরই মধ্যে। উল্লেখ্য, পল্লি কবি জসিমউদ্দীনের নিজস্ব বাড়ী ফরিদপুরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে ১৯৯১ সাল থেকে আনসার মনজ্জিলের পাশে কুমার নদীর তীরে শুরু হয়েছে এই জাকজমকপূন্য ঐতিহ্যবাহী জসিম মেলা।

এই মেলাকে ঘিরে প্রতিটি দিন মঞ্চে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কবি জারি, সারি, বিচার গান, নাচ, গান-বাজনা, নাটক সহ বিভিন্ন প্রকারের সাংকৃতিক অনুষ্ঠান বিকাল হতে শুরু হচ্ছে যা মেলায় আগত দর্শনাথীদের বিনোদন দিচ্ছে সারাটা সময় ধরে। এ ছাড়া মেলার মাঠে ২০০টি নামী দামী ষ্টল এসেছে ঢাকা থেকে এ গুলো হলো কারুপন্য বিপনন, কৃষি স্বাস্থ্য ও শিল্প প্রদর্শনী, ঢাকার বিখ্যাত পানের দোকান, র্কোটের দোকান, বিভিন্ন গামের্ন্টস দোকানসহ ইত্যাদি। সাথে থাকছে মানুষের করসথের মাধ্যমে দেখানো সার্কাস, যাদু, পিস্তল খেলা, পুতুল নাচ, মৃত্যুকুপ ইত্যাদি।

Jasim mela sabiমেলা প্রাঙ্গনের বাইরে কাঠের খাট, সোফাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসেছে বিক্রেতারা যা মেলায় আগত দর্শনার্থীদের পুরোটা সময় কেনা কেটার মাধ্যমে মূগ্ধ করে রাখছে। ঢাকা থেকে আগত কোর্ট-প্যান্ট বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম জানালেন মেলায় বেচা বিক্রি মোটামুটি ভালো তবে শেষের দিকে বাড়বে বলে আশা করছি। অপর একজন আচার বিক্রেতা ঢাকা থেকে আগত মোঃ আবদুল্লাহ জানালেন আমরা প্রতি বছর এই মেলায় আসি এবার বেচা বিক্রি তেমন ভালো মনে হচ্ছে না তবে বাড়বে শেষের দিকে আশা করছি। ঢাকা থেকে আসা বেল্ট বিক্রেতা রায়হান জানালেন বেচা কেনা গত বার থেকে এবার একটু কম কম।

ঢাকার নামকরা কলা বাগানের মামা হালিমের কর্নধার জানালেন, প্রতিদিন আমাদের প্রচুর বিক্রি হয় এ মেলায় তবে এখনো তেমন সারা পাচ্ছিনা। মেলায় ম্যাজিক নিয়ে এসছেন ঢাকার নামকরা ম্যাজিকম্যান হারুন শাহ্ তিনি জানান, আমি প্রতিটি বছর ম্যাজিক নিয়ে আসি মেলায় কিন্তু এবার তেমন সারা পাচ্ছি না।

মেলায় আগত এক দর্শনার্থী জানালেন, ফরিদপুরের এই পল্লি কবির জসিম মেলা আমাদের প্রানের খোরাক জোগায় প্রতি বছরের এই সময়ে।Jasim mela sabi 2 রাজবাড়ী থেকে নিপেন সরকার নামে এক দর্শনার্থী পরিবার নিয়ে এসেছেন তিনি জানালেন, মেলায় আমরা সার্কাস দেখলাম, পুতুল নাচ দেখেছি তাছাড়া বাড়ীর জন্য কিছু কেনাকেটা করলাম। হুমায়ন নামে এক দর্শনার্থী জানালেন এখানকার সবচাইতে ভালো লাগে ভাই রাত্রে টাওয়ারে যে আলো জকমক করে জ্বলে এবং এর আসে পাশের লাইটিং যা পরিবেশকে আলোময় করে তুলে। তবে এবার মেলায় আগত দর্শনাথীদের মধ্য তরুন তরুনীর ভীর বেশী লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে জানালেন তিনি। প্রতি বারের ন্যায় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসন ও জসিম ফাউন্ডেশন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে মেলাকে ঘিরে।

এ ব্যাপরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয় বসাক জানান, এবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ বাড়তি সর্তকতা ও নিরাপত্তা বলয় যাতে কোনরকম ক্রটি না থাকে মেলায় আইন শৃংখলার ব্যাপারে।



মন্তব্য চালু নেই