ফরিদপুরের সালথায় আ’লীগের দু’পক্ষের সংষর্ষ: আহত- ১২
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের চিলার কামদিয়া গ্রামে চাঁদাবাজী ও লুণ্ঠিত মালামাল বিক্রয়ের টাকা ভাগাভাগী নিয়ে সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। শনিবার রাতে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের চিলার কমাদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, সদ্য আওয়ামী লীগে যোদানকারী চিলার কামদিয়া গ্রামের আমজাদ মোল্যা ও দলিল উদ্দীন ওরফে দৌলা মাতুব্বরের নেতৃত্বে গ্রামের প্রতিপক্ষের লোকজনের নিকট থেকে ২ লক্ষাধিক নগদ টাকা চাঁদা আদায় ও মালামাল লুটপাট করে। চাঁদা ও মালামাল বিক্রির এ টাকা ভাগাভাগি নিয়ে শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আমজাদ মোল্যা এবং দলিল উদ্দীন মাতুব্বরের সমর্থকরা লাঠিসোঠা নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়। গুরুতর আহত জামাল মোল্যা, কামাল মোল্যা, হাকিম ফকির, মানিক মোল্যা, হবি মোল্যা ও মিজান মোল্যাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে দলিল উদ্দীন মাতুব্বর বলেন, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। কোন ঘটনা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সেটা বলা যাবে না। তবে আজকেই নিজেরা বসে মিমাংসা করে ফেলব। এ নিয়ে নিউজ করার দরকার নেই।
ভাওয়াল ইউপি চেয়ারম্যান ও ভাওয়াল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব মাতুব্বর বলেন, চিলার কামদিয়া গ্রামে মামরামারি হয়েছে এমন খবর শুনেছি। মারামারির কারন আমি জানি না।
সালথা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি আমরা শুনেছি। কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য চালু নেই