ফরিদপুরের ভাংগায় দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত-৪০

ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসদরের নওপাড়া গ্রামে বুধবার সকালে সরকারী জায়গার উপর ঘর উঠানোকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসির মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪০ জন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৪৮ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ।

সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে ১০টি বসত ঘরে ভাংচুর করে নগত টাকা, স্বর্ন অলংকার, মোবাইল সেট, আসবারপত্র লুটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায়, স্থানীয় কুটি ফকির সরকারী একটি জায়গা দখল করে সেখানে পাকাঘর নির্মান করাকে কেন্দ্র করে এলাকার মীর্জা জিয়াউর রহমান ও এ্যাডভোকেট জহুরুল হকের লোকজনের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

গত মঙ্গলবার রাতে আতিকুর রহমান নামের একজনকে মীর্জা জিয়াউর রহমানের লোকজন পিটিয়ে ড্রেনের পাশে ফেলে রাখে। সকালে এঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসি দেশীয় অস্ত্র রামদা, সড়কি, টেটা, বল্লম নিয়ে একে অপরের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এসময় উভয় গ্রুপই ১০টি বাড়ীতে ব্যাপক ভাংচুর করে লুটপাটে মেতে ওঠে।

ক্ষতিগ্রস্থরা হলো মীর্জা আবু তালেপ, এ্যাডভোকেট জহুরুল হক, সিদ্দিক মোল্লা, হারুন সেক, কুদ্দুছ সেক, শাহীন সেক, বাচ্চু মাতুব্বর, তসলিম সেক, রেজাউল সেক, তারা মীর্জা ও কাওছার সেকের বাড়ীতে হামলা হয়। সংঘর্ষের সময় আহতরা হলো ভাংগা থানার এস আই মুকুল, এস আই লিয়াকত।

গ্রামবাসিদের মধ্যে আহতরা হলেন, শিউলি বেগম, লিসা বেগম, কাজলী, আতিকুর, হাফিজ মুন্সি, মহিউদ্দিন মুন্সি, তিতু মির্জা, ইব্রাহিম মুন্সি, হারুন সেক, সাব্বির সেক। আহতদের ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল হতে ছলেমান, আবু কালাম সেক, নিজাম, নুর ইসলাম, মিঠুকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করায় মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ভাংগা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম জানায়, সকালে সংঘর্ষের খরব পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছি। পরবর্তী সময়ে সংঘর্ষ এড়াতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই