ফখরুলকে আহ্বায়ক করে বিএনপির মনিটরিং কমিটি

দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আহ্বায়ক এবং যুগ্ম-মহাসচিব মো. শাহজাহানকে সদস্য সচিব করে পৌর নির্বাচনের জন্য একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। এই কমিটি সার্বিকভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। মির্জা আলমগীর কোনো কারণে অনুপস্থিত থাকলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ দায়িত্ব পালন করবেন।

বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

এক বছরেরও বেশি সময় পর এদিন রাত পৌনে ৯টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের নীতিনির্ধারকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন দলটির প্রধান খালেদা জিয়া। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠক শেষ হয় রাত সোয়া ১০টার দিকে। বৈঠক শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।

তিনি জানান, পৌর নির্বাচন মনিটরিং করার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে একটি এবং প্রতিটি বিভাগে একটি করে পৃথক কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব কমিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সঙ্গে সমন্বয় করে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেবেন। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানান তিনি।

বৈঠক সূত্র জানায়, মূলত বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই কমিটিগুলো কাজ করবে। বিভাগীয় কমিটির দায়িত্বে থাকবেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা।

তবে আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও গত বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর বিভিন্ন পৌরসভায় একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা। কিন্তু বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বিরত রাখতে পারেননি তারা। এ তথ্য স্বীকার করে নেতারা জানান, দফায় দফায় বৈঠক করে তারা শেষবারের মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরত রাখতে। তাদের দলের হাইকমান্ডের বক্তব্য স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

একক প্রার্থী নিশ্চিত করার বিষয়ে জানতে পৌর নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মো. শাহজাহানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানান, অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এবারের পৌর নির্বাচন ব্যতিক্রমী। প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যে। তাই এই পৌর নির্বাচনকে মর্যাদার লড়াই হিসেবেই দেখছে বিএনপি।

শনিবারের মধ্যে ৯০ ভাগ বিদ্রোহী প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এরপরও যারা দলের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন না তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মো. শাহজাহান।

একক প্রার্থী নিশ্চিত করার বিষয়ে জানতে রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-অর-রশীদ বলেন, এলাকায় ফিরে তিনি কাজ শুরু করেছেন। একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে জেলা ও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করছেন। এখনো কাউকে ম্যানেজ করা যায়নি বলেও জানান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই