পড়ার টেবিলে দিনের শুরু, বিশ্বের ১৩ মহারথীর তালিকায় যা থাকে

বিশ্বের সফলতম মানুষদের গোটা দিনটাই ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে যায়। এ ছাড়া প্রত্যেকের নির্দিষ্ট কিছু কাজের তালিকা রয়েছে যা তারা যুগ যুগ পালন করে আসছেন। এর মধ্যে একটি দিনের শুরুতে কিছু একটা পড়ার কাজ। সফল মানুষদের আদর্শ যারা, প্রতিদিন সকালে তাদের কে কি পড়েন তা জেনে নিন এখানে।

১. ‘বিনিয়োগ গুরু’ ওয়ারেন বাফেটের দিনের কাজ শুরু হয় জাতীয় এবং স্থানীয় খবর পড়ে। এই বিলিয়নিয়ার জানান, প্রতিদিন সকালে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ফিনানসিয়াল এক্সপ্রেস, নিউ ইয়র্ক টাইমস, ইউএসএ টুডে, ওহামা ওয়ার্ল্ড হেরাল্ড বা আমেরিকান ব্যাঙ্কার দিয়ে দিন শুরু করেন তিনি।

২. মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সকালে জাতীয় খবরে চোখ বুলিয়ে নেন। এর সঙ্গে পড়েন দুই-একটি ব্লগ এবং গুটিকয়েক ম্যাগাজিন। নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ওয়াশিংটন পোস্ট সকালে নিয়মিত পড়েন তিনি। এ ছাড়া টাইমস কলামিস্ট, অ্যান্ড্রু সুলিভান, নিউ ইয়র্কার এবং দ্য আটলান্টিক ব্লগের দারুণ ভক্ত তিনি।

৩. সকালটা নিউজ ডাইজেস্ট দিয়ে শুরু করেন বিল গেটস। বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের খবর দেখে নেন। ওয়ারেন বাফেটের এই প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব ডিরেক্টরিজ তিনি। পড়ার তালিকায় রয়েছে ইকোনমিস্ট কভার-টু-কভার, নিউ ইয়র্ক টাইমস ইত্যাদি।

৪. বাজফিড প্রতিষ্ঠাতা জোনাহ পেরেতির সকাল শুরু হয় নিউ ইয়র্ক টাইমসের ব্যবসা বা খেলাধুলার খবর দিয়ে। নিউ ইয়র্কার এবং ইকোনমিস্টের সাবস্ক্রিপশন করা রয়েছে তার।

৫. ফাস্ট-ফুড চেইন ‘পপায়াস লুইজিয়ানা কিচেন’ এর সিইও শেরিল ব্যাচহেল্ডার প্রতিদিন সকালে দুটো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সারেন। একটি নেতৃত্ব বিষয়ক কোনো নিবন্ধ এবং অপরটি কিছুটা একাকী সময় কাটানো।

৬. জেনারেল ইলেকট্রিকের সিইও জেফরি ইমেল্ট বলেন, সকাল শুরু হয় ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দিয়ে। এ ছাড়া ফিনানসিয়াল টাইমস এবং এফটিইনডেক্স রয়েছে তালিকায়।

৭. স্টারবাকস সিইও হাওয়ার্ড শালজ বিগত ২৫ বছর ধরে দিনের শুরুতে কিছু না কিছু পড়েন। কফির সঙ্গে তিনটি পত্রিকা তুলে নেন তিনি। একটি সিয়াটল টাইমস, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং নিউ ইয়র্ক টাইমস।

৮. ‘ডিলবার্ট’ কমিক এর প্রতিষ্ঠাতা স্কট অ্যাডামস ভোরে উঠে একটি প্রোটিন বার খেয়ে ফেলেন। এরপর পড়েন বিজনেস ইনসাইডার। ব্যবসা এবং রাজনীতির খবর পড়ে সৃষ্টিশীলতার চর্চা করেন।

৯. ফোকাস ব্র্যান্ডের গ্রুপ প্রেসিডেন্ট ক্যাট কোল সকালে প্রথমেই ঢুঁ মারেন সোশাল মিডিয়ায়। ভোর ৫টায় উঠে ক্যালেন্ডার দেখে নেন এবং সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে খবরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়ে চোখ বোলান।

১০. বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের ভাইস চেয়ারম্যান চার্লি মুনগার জানান, সকালে ইকোনমিস্ট দিয়ে দিনের শুরু হয় তার।

১১. ‘শার্ক ট্যাঙ্ক’ এর বিনিয়োগকারী কেভিন ও-ল্যারি পৌনে ছয়টায় চোখ খোলেন। প্রথম কাজ এশিয়ান এবং ইউরোপিয়ান বন্ড মার্কেট দেখে নেওয়া। এরপর সাম্প্রতিক বিজনেস খবরগুলো পড়েন।

১২. উদ্যোক্ত এবং সোশাল মিডিয়া গুরু গ্যার ভেনারচাকের সকাল যায় টুইটারে চোখ বুলিয়ে। পাশাপাশি টেকমেমে তার প্রিয় সাইট।

১৩. এনএফএল এর হল অব ফেম এবং উদ্যোক্তা ফ্রান টার্কেন্টন বলেন, সকালের একটি সময় কাটে আটলান্টা জার্নাল কন্সটিটিউশন পড়ে। এরপরই নিউ ইয়র্ক টাইম-এ ঢুঁ মারেন তিনি। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার



মন্তব্য চালু নেই