প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে এই ৮ টি খাবার
মানুষ যখন ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়ার মত ভেক্টর বাহিত রোগে আক্রান্ত হয় তখন তার রক্তের প্লাটিলেটের সংখ্যা ক্রমশ কমে যেতে থাকে। সময়মত চিকিৎসা করানো না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকা রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সাহায্য করে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করার মাধ্যমে। একজন সুস্থ মানুষের প্রতি মাইক্রোলিটার রক্তে ১,৫০,০০০ থেকে ৪,৫০,০০০ প্লাটিলেট থাকে। কিছু খাবার আছে প্লাটিলেটের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রচলিত চিকিৎসার পাশাপাশি যে খাবারগুলো খেলে প্লাটিলেটের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় সেরকম ৮ টি খাবার হচ্ছে –
১। সবুজ শাক
আপনি যদি আহত হন তাহলে আপনার শরীরের প্রোটিন রক্তপাত বন্ধ করার জন্য কাজ করা শুরু করে। ভিটামিন কে এর উপর নির্ভর করে এই প্রোটিন কাজ শুরু করে। এই পুষ্টি উপাদানটি ছাড়া রক্ত জমাট বাঁধানো যায়না এবং রক্তপাত বন্ধ করা যায়না। পর্যাপ্ত পরিমাণ পাতাকপি বা বাঁধাকপি খেলে ভিটামিন কে এর অভাব পূরণ করা যায়। দৈনিক একজন পুরুষের ১২০ মাইক্রোগ্রাম এবং একজন স্ত্রীর ৯০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে গ্রহণ করা প্রয়োজন। ভিটামিন কে এর অন্যান্য উৎসগুলো হচ্ছে – সবুজ শাকসবজি, ভেজিটেবল ওয়েল এবং পার্সলে পাতা।
৩। কিউই
প্লাটিলেটের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে কিউই ফল। চিকিৎসার পাশাপাশি দিনে অন্তত ২ টি কিউই খেতে পারেন। যারা অ্যানেমিয়া বা ভিটামিন বি এর ঘাটতি অথবা অন্য ভাইরাস ইনফেকশনে ভুগছেন তাদের জন্য ও কিউই ফল উপকারী।
৩। গাজর
প্লাটিলেট উৎপাদনের জন্য ভিটামিন এ অপরিহার্য। এটি শরীরে প্রোটিনের গঠনেও সাহায্য করে। কোষের বিভাজন ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে প্রোটিন। এজন্যই ভিটামিন এ গ্রহণ করা অত্যাবশ্যকীয়। গাজর ছাড়াও মিষ্টিআলু ও মিষ্টি কুমড়া ও ভিটামিন এ এর উৎস।
৪। ডিমের সাদা অংশ
প্লাটিলেটের কাউন্টকে বৃদ্ধি করার সহজ উপায় হচ্ছে ডিমের সাদা অংশ গ্রহণ করা। ডিমের সাদা অংশে অ্যালবুমিন থাকে যা রক্তের অত্যাবশ্যকীয় প্রোটিন।
৫। দুধ
দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার ক্যালসিয়ামের চমৎকার উৎস, যা চিকিৎসা চলাকালীন রক্তের প্লাটিলেটের সংখাকে বৃদ্ধি করতে পারে। আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম গ্রহণ না করেন তাহলে আপনার শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে সময় নিবে বিশেষ করে আপনি যদি কোন আঘাত পান।
৬। পেঁপে পাতা
পেঁপে পাতায় পেপেইন নামক এনজাইম থাকে। যা প্লাটিলেটের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পেঁপে পাতা ১৫ মিনিট যাবৎ সিদ্ধ করে এর পানিটুকু দিনে দুইবার পান করুন।
৭। কড লিভার ওয়েল
কড লিভার ওয়েল ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী হতে সাহায্য করে। রক্তের প্লাটিলেটের চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে কড লিভার ওয়েল। এই তেল প্রদাহ কমতে সাহায্য করে এবং সারা শরীরের রক্ত সঞ্চালনের ও উন্নতি ঘটায়। তবে এই তেল রক্তকে পাতলা করে দিতে পারে তাই সতর্কতার সাথে গ্রহণ করতে হয়।
৮। ডালিম
ডালিম প্লাটিলেটের সংখ্যা বৃদ্ধির চিকিৎসায় উপকারী। এর গাঁড় লাল বর্ণ দেখেই বুঝা যায় যে এতে উচ্চমাত্রার আয়রন আছে। নিয়মিত ডালিম খেলে প্লাটিলেটের সংখ্যা হ্রাস প্রতিহত করা যায়। ১৫০ মিলিলিটার ডালিমের রস ২ সপ্তাহ যাবৎ পান করলে প্লাটিলেটের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
মন্তব্য চালু নেই