প্রেম যমুনা ঘাটে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়

ঈদ মানেই খুশি-ঈদ মানেই আনন্দ। সেই আনন্দ উপভোগ করার জন্য ঈদের দু’দিন পর সারিয়াকান্দির কালিতলা ও দীঘলকান্দি যমুনার তীরে প্রেম যমুনা ঘাটে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত যমুনা নদীর ভাঙ্গন রক্ষার্থে স্থাপনাগুলি নদীর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করায় দীর্ঘ দিন হলে দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। যা দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আশা যাওয়া করে। এছাড়াও বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে এখানে প্রতিনিয়ত মানুষের ভীড় লেগেই থাকে। দীঘলকান্দি প্রেম যমুনার ঘাটে বেড়াতে আসা বগুড়ার মাটিডালির জিয়াউল হক ও মিজানুর রহমান গাড়ী ভাড়া করে স্বস্ত্রীক বেড়াতে এসেছে। গাবতলী উপজেলার বাসিন্দা ও নাটোর দিঘাপতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মমতাজুল আলম মুকুল স্ব পরিবারে বেড়াতে এসেছেন। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রতি বছর বিভিন্ন উৎসবকে ঘিরে এখানে বেড়াতে আসেন। তিনি এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবী জানিয়ে বলেন এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে একদিকে সরকারী রাজস্ব আয় হবে অন্যদিকে দর্শনার্থীরা বেড়াতে এসে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। সারিয়াকান্দির কালিতলা, দীঘলকান্দি ও দেবডাঙ্গায় গত ২০০০ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনা নদীর ডান তীর রক্ষার্থে গ্রোয়েন বাধ নির্মাণ করা হয়। গ্রোয়েন বাধ গুলো নির্মাণের ফলে যমুনা নদীর ভাঙ্গনের কবল থেকে সারিয়াকান্দি রক্ষা হয়েছে অন্যদিকে স্থাপনা গুলি নদীর তীরে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে চলেছে। স্থানীয় অধিবাসী গন আগত দর্শনার্থীদের যথাসাধ্য আদর আপ্যায়ন করে থাকেন। সরকারী ভাবে আগত দর্শনার্থীদের জন্য কোন সুযোগ সুবিধা এখানে নেই বললেই চলে। আগত দর্শনার্থীরা এই এলাকাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকারের নিকট দাবী জানান।



মন্তব্য চালু নেই