প্রেমে প্রতারণার পিছনে রয়েছে এই ১০টি বৈজ্ঞানিক কারণ

সর্বাগ্রে আসে মানসিকতা। কোনও সম্পর্কে টিকে থাকা এবং টিকিয়ে রাখতে হলে মানসিক দৃঢ়তার প্রয়োজন। বেরিয়ে আসার হাজার প্রলোভন থাকতে পারে। মানসিকভাবে নিজে কোথায় দাঁড়িয়ে, সেটা সবথেকে আগে বুঝতে হবে।

মানব-শরীরে ‘হ্যাপি হর্মোন’-এর ক্ষরণের মাত্রা সমান নয়। এই হর্মোনের কারণেই প্রতারণার ব্যাপারটা কারোর কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ না-ও মনে হতে পারে। নতুন কোনও সঙ্গী জুটলে ডোপামাইনের ক্ষরণ ঘটে। তখন অনেক সময়েই হিতাহিত জ্ঞান লোপ পায়।

গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, যে মহিলাদের উর্বরাশক্তি খুব বেশি, তাঁরা তুলনায় বেশি প্রতারণা করে থাকেন। ‘ওভুলেশন’ বা ‘ডিম্বস্ফোটন’-এর কারণে তাঁরা অন্য পুরুষে বেশি আকৃষ্ট হন।

কেউ প্রতারণার পথে পা বাড়িয়েছেন মানে তিনি তাঁর বর্তমান সম্পর্কে অতৃপ্ত, তা নয়। বেশিরভাগ পরকীয়াই ইঠে আসে তৃপ্ত দাম্পত্য থেকে।

গম্ভীর কণ্ঠস্বরের পুরুষদের মহিলারা নাকি প্রতারণার জন্য প্রায়শই কাঠগড়ায় দাঁড় করান। আবার তীক্ষ্ণ-তীব্র গলার মেয়েদের সঙ্গ করেন যে পুরুষরা, তাঁরা মনে করেন তাঁরা প্রতারিত হচ্ছেন। এই গল্প অবশ্য নেহাত গল্পই।

বেশির ভাগ বিবাহিত জুটিই জীবনের কোনও না কোনও সময়ে প্রতারণার পথে পা বাড়িয়েছেন। বিশ্বের ৫০ শতাংশ বিবাহিতা নারী এবং ৬০ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ এই মুহূর্তে পরকীয়ায় আসক্ত।

দেহের মধ্যে বহু প্রকার হর্মোনের খেলাই প্রতারণাকে ডেকে আনে। অন্য সঙ্গীকে খুঁজতে বাধ্য করে এই খেলা।

সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গিয়েছে, আদিম যুগে ভিনদেশি পুরুষ নতুন কোনও ট্রাইবকে কব্জা করতে পারলে আগে শিশুদের হত্যা করত, পরে নারীদের হরণ করত। ট্রাইবের শিশুদের বাঁচাতে একটি মাত্র পুরুষের সঙ্গে মেয়েদের ঘর করার বন্দোবস্ত করা হয়। শিশুহত্যা লোপ পেয়েছে অনেকদিন। কিন্তু মোনোগ্যামি থেকে গিয়েছে।

যে সব পুরুষের শুক্রাশয়ে শুক্রধারণের ক্ষমতা বেশি, তাঁদের ক্ষেত্রে অধিক মাত্রায় নারীসঙ্গের লিপ্সা দেখা দেয়। এই উক্তি বৈজ্ঞানিকদেরই। ফলে প্রতারণা ছাড়া গতি কই!

সোশ্যাল মিডিয়ার বিপুল বিস্ফোরণ প্রতারণাকে কি উস্কে দিয়েছে? ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার অনেক সময়েই পুরনো প্রেমের শিখাকে নতুন করে জ্বালিয়েছে, সন্দেহ নেই। সঙ্গে সঙ্গে নতুন প্রেমের সম্ভাবনাকেও বাড়িয়েছে। ফলে ‘টিটিং’ অনেকক্ষেত্রেই অনিবার্য হয়ে পড়ে।



মন্তব্য চালু নেই