প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা

মোহাম্মদ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের চিরিরবন্দর-খানসামা উপজেলার ১০ টি গ্রামের প্রায় ৫০হাজার লোকের দীর্ঘদিনের দাবি এখানে একটি ব্রীজের। চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের পূর্ব-উত্তর কোণে নশরতপুর ঈদগাঁহ মাঠ সংলগ্ন ইছামতি নদীতে একটি সেতু নিমার্ণের অভাবে এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছেন। নির্বাচন আসলে নেতা আর কর্মীদের মুখে শুধু কথার ফুলঝুরি ফোটে। নির্বাচন শেষ হলে তাদের আর সাক্ষাত মিলে না। বছরের পর বছর শুধুই আশ্বাস আর আশ্বাস। বিভিন্ন নির্বাচনে বারবার ধর্না দিয়ে আশ্বাস মিললেও সেতু কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। সেতু না থাকায় যাতায়াত, উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে আনা-নেয়া, অন্যান্য মালামাল বহনে ভোগান্তি ও অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে। শুধু বাঁশের একটি সাঁকো অত্রাঞ্চলের মানুষের একমাত্র ভরসা। যা বর্ষার সময় মানুষের দূর্ভোগ এর শেষ থাকে না। চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর, চকগোবিন্দ, আলোকডিহি, ফতেজংপুর, উত্তর পলাশবাড়ী, খানসামা উপজেলার দুবলিয়া, গোয়ালডিহি, লালদিঘী, নীলফামারীর বড়-য়াসহ ১০ টি গ্রামের প্রায় ৫০হাজার লোকের যাতায়াতের একমাত্র পথ এ বাঁশের সাঁকো। মানুষের আনাগোনা ওই স্থানে আজও সেতু নির্মিত না হওয়ায় দূভোর্গ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এখানে একটি সেতু নির্মিত হলে শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে ।এলাকাবাসী জানান, স্বল্প সময়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, আলোকডিহি জে, বি উচ্চ বিদ্যালয়, রাণীরবন্দর এন, আই বালিকা বিদ্যালয়, কুমড়িয়া দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়, উপজেলার প্রসিদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী রাণীরবন্দরহাট ও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যাতায়াতে এলাকার লোকজন এ পথে চলাচল করে থাকে। নশরতপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুর-এ-আলম সিদ্দিকী (নয়ন) জানান, গ্রামবাসীর একটি সেতুর জন্য দুর্ভোগের সীমা নেই। ইউনিয়ন পরিষদের এখতিয়ার না থাকায় ইচ্ছা থাকলেও সেতু তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই অভিজ্ঞ মহল উক্ত স্থানে ব্রীজ নিমার্ণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই