প্রাচীন মিশর সম্রাটের মমিতে হৃৎপিণ্ড নেই কিন্তু পুরুষাঙ্গের একি অবস্থা!
তুতানখামেনের মমি যে অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল, তাতে একটি আশ্চর্য বিষয় লক্ষ করা গিয়েছিল। মৃত সম্রাটের পুরুষাঙ্গটি ছিল উত্থিত অবস্থায়। আরও লক্ষ্যমীয় বিষয় ছিল এই— সম্রাটের মমিতে হৃৎপিণ্ড ছিল না।
সিণরের ‘বালক’ সম্রাট, তুতানখামেনের সমাধি এবং মমিকে ঘিরে রহস্য কি শেষ হওয়ার নয়? সম্প্রতি তাঁর সমাধিকক্ষ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। পুনরুত্থিত হয়েছে সেই মমি ও সমাধিকে ঘিরে অতীতে ঘটে যাওয়া রহস্যময় ঘটনাগুলি নিয়ে হইচই। তার চাইতেও তাজ্জব ঘটনা সম্প্রতি উঠে এসেছে ইজিপ্টোলজিস্টদের গবেষণায়।
তুতানখামেনের মমি যে অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল, তাতে একটি আশ্চর্য বিষয় লক্ষ করা গিয়েছিল। মৃত সম্রাটের পুরুষাঙ্গটি ছিল উত্থিত অবস্থায়। আরও লক্ষ্যমীয় বিষয় ছিল এই— সম্রাটের মমিতে হৃৎপিণ্ড ছিল না। আর তাঁর কফিনটি কালো রঙে রং করা ছিল। মৃত ব্যক্তির যৌনাঙ্গ উত্থিত হওয়া অসম্ভব। কিন্তু এক্ষেত্রে তেমনটাই হয়েছে। অ্যামেরিকান ইউনিভার্সিটি অফ কায়রো-র গবেষিকা সালিমা ইক্রাম সম্প্রতি জানিয়েছেন, ফারাও তুতেনখামেনের এই লিঙ্গোত্থানের কিছু ধর্মীয় তাৎপর্য থাকতে পারে।
সালিমা ইক্রামের মতে, উত্থিত লিঙ্গকে প্রাচীন মিশরে পাতালের দেবতা ওসাইরিসের প্রতীক বলে মনে করা হত। সালিমার বক্তব্য অনুযায়ী, তুতানখামেনের পিতা আখেনাটেন এক ধর্মবিপ্লব শুরু করেছিলেন। তুতানকামেন সেই বিপ্লব থেকে বেরিয়ে আসতে চান। আখেনাটেন চেয়েছিলেন, গোটা মিশর ‘আতেন’ বা সৌরচক্রের উপাসনা করুক। এককথায়, তিনি মিশরায় পৌত্তলিক ধর্মের অবসান চেয়েছিলেন। কিন্তু তুতেনখামেনের মমিকৃত লিঙ্গোত্থান প্রমাণ করে, তিনি ফিরে যেতে চেযেছিলেন পৌত্তলিক যুগে।
মন্তব্য চালু নেই