প্রাচীনকালে মানুষের বাস ছিল সুন্দরবনে! রহস্য ফাঁস করলেন গবেষক
অরণ্যের গভীরেই ছিল প্রাচীন সভ্যতা। সুন্দরবনে মিলল সেই সভ্যতার প্রমাণ। ম্যানগ্রোভে ঘেরা এই জঙ্গলে এমন কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মিলেছে, যা থেকে বোঝা যায় মৌর্যযুগেও সুন্দরবনে মানুষের বসবাস ছিল। অন্তত ৩২২-১৮৫ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের এই সভ্যতা অন্তত ৫০০-৬০০ বছর পর্যন্ত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, ১৭৫৭ সালে মুঘল বাদশা দ্বিতীয় আলমগীরেরর কাছ থেকে সুন্দরবন নেয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এরপর ১৭৬৪ সালে প্রথম দেশের মানচিত্রে স্থান পায় সুন্দরবন। কিন্তু সম্প্রতি জানা গেল এসবের অনেক আগে থেকেই মানুষ থাকতেন এই অঞ্চলে। কিন্তু কিভাবে সেই সভ্যতার অবসান, সেটাই পরিষ্কার নয়।
এই আবিষ্কারের নেপথ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন একজন মৎস্যজীবী বিশ্বজিত্ সাহু। মাছ ধরার জন্য সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপে ঘুরে বেড়াতে হয় তাঁকে। নানা সময় খুঁজে পাওয়া টেরাকোটার খেলনা, প্রাচীন পুঁতির মালার মতো বেশ কিছু জিনিস সংগ্রহ করেন তিনি। এভাবে প্রায় ১৫ হাজার প্রাচীন নিদর্শন সংগ্রহ করেছেন তিনি। সেসব থেকেই শুরু খোঁজ। ফণীকান্ত মিশ্রের নেতৃত্বে চলছে খননকার্য।
প্রাচীন খেলনা ঘর-সংসারের সামগ্রী ছাড়াও বেশ কিছু মানুষের মাথার খুলি, হাড়ের টুকরো বিশ্বজিত্ সংগ্রহ করে রাখেন। এ সব প্রাচীন সভ্যতার বাসিন্দাদের নিদর্শন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ফণীকান্ত মিশ্র মতে সুন্দরবনের এই সভ্যতা গুপ্ত যুগের প্রথমদিকেও বজায় ছিল।
মন্তব্য চালু নেই