প্রশ্নপত্র ফাঁস : রংপুরে ৩ ডাক্তারসহ আটক ৭

মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত অভিযোগে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তিন চিকিৎসকসহ ৭ জনকে আটক করেছে র‌্যাব-১৩।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রংপুরের শাপলা চত্বর এলাকায় র‌্যাব-১৩ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার বর্ণনা দেন মেজর আশরাফ।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছে রংপুর মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার মুন্নাফের বাসায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জন প্রতি ১০ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়। পরীক্ষার দিন সকালে তাদের একত্রে বসিয়ে প্রশ্নের সমাধান করে দেওয়া হয়। পরে সব পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার হল পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়।

মেজর আশরাফ জানান, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। ঢাকায় এ ধরনের একটি চক্রকে গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রংপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে র‌্যাব।

প্রথমে রংপুরের ‘এ ওয়ান’ নামে কোচিং সেন্টারের তিন শিক্ষক আতিকুর রহমান আদিল, জামিল উদ্দিন ও সাজরাতুল ইয়াকিন রানাকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রংপুর মেডিক্যাল কলেজের ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে পাভেল, প্রাইমেট কোচিং সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজুর হোসেন, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অর্থোপেডিক বিভাগের সহকারি রেজিস্ট্রার ডা. জিল্লুর রহমান রনি ও সার্জারি বিভাগের ডা. শরিফুল ইসলাম অন্তুকে আটক করা হয়।

এরা রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতি চক্রের সক্রিয় সদস্য।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানান, রংপুর মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার মুন্নাফের বাসায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জন প্রতি ১০ লাখ টাকা করে নিয়ে সবাইকে একত্রে বসিয়ে পরীক্ষার দিন সকালে প্রশ্নের সমাধান করে দেওয়া হয়। ডা. মুন্নাফ নিজ দায়িত্বে এ সব পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার হল পর্যন্ত পৌঁছে দেন।

তিনি আরো জানান, এ চক্রের সঙ্গে প্রশপত্র ফাঁসকারী মূল হোতাদের যোগাযোগ রয়েছে। তাদের মাধ্যমেই এভাবে তারা প্রশ্ন ফাঁস করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। রেটিনা কোচিং সেন্টারের পরিচালক এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। এ চক্রের অন্য সদস্যদের আটকে অভিযান চলছে।



মন্তব্য চালু নেই