প্রধানমন্ত্রী তো নীলকণ্ঠ, বিষ খেয়ে হজম করতে পারেন
জাতীয় পার্টিও আজ জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের কঠোর সমালোচনা করলেন।আগের দিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জাসদকে শত ভাগ ভণ্ড হিসাবে আখ্যায়িত করার পর আজ সেই একই সুরে জাতীয় পার্টির নেতা কাজী ফিরোজ রশীদ পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী দেশের ‘দুর্দিন’-এর জন্য জাসদকেই দায়ী করলেন।তিনি বলেন,‘মুক্তিযুদ্ধের পর জাসদ গণবাহিনী গঠন করে বেছে বেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের এভাবে হত্যা না করলে দেশে দুর্দিন হতো না। বঙ্গবন্ধুর মতো এতবড় জাতীয় নেতাকে আমরা হারাতাম না।’
জাতীয় সংসদে বক্তব্য দেওয়ার সময় জাতীয় পার্টির এমপিদেরকে সরাসরি সম্প্রচারে বাংলাদেশ টেলিভিশনে না দেখানোর অভিযোগ তুলে এর জন্য তথ্যমন্ত্রী জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে দায়ী করেন। ফিরোজ রশীদ এ বিষয়ে স্পিকারের কাছে প্রকেটশন চান।
পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার টেলিভিশনে আপনাকে এবং সরকারি দলকে বেশি দেখানো হয়। কিন্তু আমাদের দেখায় না। কারণ হলো, তথ্যমন্ত্রী জাসদের। আমরা ছাত্রলীগ করতাম। একসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। একই বিছানা থেকে ওঠে উনি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছেন। আমাদের গুনে গুনে বিশলাখ মানুষকে জাসদ হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগের লোককে বেছে বেছে হত্যা করেছে। এভাবে হত্যা না করলে দেশের আজকের এই দুর্দিন হতো না। বঙ্গবন্ধুর মতো এত বড় জাতীয় নেতাকে আমরা হারাতাম না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সারা দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টি হলো। এর সুযোগটা নিলো কুচক্রী মহল এবং সেজন্যই জাতি এখনও পর্যন্ত ভুগছে।’
জাসদের গণবাহিনীর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে জাতীয় পার্টির এই নেতা ভবিষ্যতে গুপ্তহত্যাকারীদের সংসদে নিয়ে আসার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীতো নীলকণ্ঠ। বিষ খেয়ে হজম করতে পারেন। উনি সমস্ত বিষ খেয়ে হজম করেন। জাসদ আজ সংসদে আছে। আমার মনে হয়, এখন যারা গুপ্তহত্যা করছে তাদেরকেও উনি ভবিষ্যতে সংসদে নিয়ে আসবেন।’
গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্যের জের ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের মাননীয় মন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ যথার্থ বলেছেন। এই ইনু সাহেবরা জাসদ করে, সংসদে ঢুকে এসব করছে। আমি আপনার প্রটেকশন চাই।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে সৈয়দ আশরাফ জাসদকে ‘হঠকারী’ দল হিসেবে মন্তব্য করে এদের একজনকে আবার মন্ত্রিত্বও দেওয়া হয়েছে, যার প্রায়শ্চিত্ত আওয়ামী লীগকে আজীবন করতে হবে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এসময় সংসদ কক্ষে উপস্থিত ছিলেন না।
মন্তব্য চালু নেই