আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে সাঈদ খোকন ও আনিসুল হককে প্রধানমন্ত্রীর পরিচয় করিয়ে দেয়ার বিষয়টি নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থি বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদপ্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কাফি রতন।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে স্থাপিত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে এ অভিযোগ করেন তিনি।

আব্দুল্লাহ আল কাফি রতন বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) প্রধানমন্ত্রী দলীয় প্রার্থী হিসেবে আনিসুল হক ও মোহাম্মদ সাঈদ খোকনকে সবার সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় পরিচয় করে দিয়েছেন; যা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দাবি করে তিনি আরো বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পরও আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বড় দলের প্রার্থীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন। স্বচ্ছ নির্বাচন করার জন্য সিটি নির্বাচন একটা বড় সুযোগ। আশা করি কমিশন এ সুযোগ গ্রহণ করবে। এজন্য কমিশনকে সরকারি প্রশাসনের প্রভাব, কালো টাকা ও পেশীশক্তি বন্ধ করে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে।’

এ সময় রিটানিং অফিস পরিদর্শনে আসা নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব সিরাজুল ইসলাম কাফির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে। তবে প্রধানমন্ত্রী তো এরকম কিছু করেন নাই। করে থাকলে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।’

ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে রাজনীতি থাকে। তবে সিটি করপোরেশন নির্বাচন দলীয়ভাবে করার সুযোগ নেই। কেননা এটি নির্দলীয় নির্বাচন।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় সকল ক্ষমতা রিটার্নিং কর্মকর্তার। রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আমরা সকলের প্রতি সমান আচরণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। আশা করি তিনি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবেন।’

এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, ‘সুষ্ঠু সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আচরণবিধি ভঙ্গ করলে কাউকেই ছাড় দেবো না। ইতোমধ্যে একজন সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীসহ ২৩ জনকে শোকজ করেছি। আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুজন নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন।’