প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে বললেন জাফরুল্লাহ
দাওয়াত দিয়েও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীককে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গভবনে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের গালে চড় দেওয়া হয়েছে। এই অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে?’
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির অন্যতম অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এর আয়োজন করে।
গত ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির দেওয়া বিজয় সংবর্ধনায় যোগ দিতে গেলে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীককে বঙ্গভবনের গেট থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
পরে সেখান থেকে ফিরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ইবরাহিম লিখেন, ‘দাওয়াত পেয়ে বঙ্গভবনে গেলাম। গেইট থেকে ফেরত দিলেন এস এস এফ এর ক্যপ্টেন এবং ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট। বললেন, আপনাকে ফেরত যেতে হবে। ফেরত চলে আসলাম। বিষয়টা বোধগম্য হলনা……। দাওয়াত না দিলে, মনে মনে বলতাম যে, রাজনীতিবিদ ইবরাহিমকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ছাড়পত্র দেয়নি। কিন্তু দাওয়াত দিয়ে গেইট থেকে ফেরত দেওয়াটা…….?? মুক্তিযুদ্ধের “বীর প্রতীক” বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যাবেন না?’
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এই কাজ কে করেছে। অবশ্যই রাষ্ট্রপতি নিজেও জানতে পারেননি। কারণ তিনিও মুক্তিযোদ্ধা। করেছে ভারতের চর। স্বাধীনতার এতাদিন পরও মনে হয়, দেশ ভারতের একটি অঙ্গ রাজ্য হয়ে যাচ্ছে কী না।’
আন্দোলনে সফল হতে ভুলভ্রান্তি ভুলে দলের সবাইকে ফিরিয়ে আনতে এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়তে খালেদা জিয়ার প্রতি পরামর্শ দেন জাফরুল্লাহ। বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের আবদুর রবসহ সমমনা দলের নেতাদের নিয়ে ঐক্য গড়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে রেখে প্রহসনের পৌর নির্বাচন মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন এই মুক্তিযোদ্ধা।
বিএনপি নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তত পাঁচটি জেলা পরিদর্শন করুন। এতে নেতাকর্মীদের মাঝে সাহস বাড়বে। গুলশানের অন্তরীণ অবস্থা থেকে আপনাকে (খালেদা জিয়া) রাজপথে নামতে হবে। তাহলে আন্দোলন সফল হবে। না হলে সবার কাছে আপনি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বেন।’
গণতন্ত্র ‘ফিরিয়ে দিতে’ এবং বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিয়ে সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সামবেশে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। অন্যদের মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কল্যন পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অংশ নিয়েছেন এই অনুষ্ঠানে।
মন্তব্য চালু নেই