প্রথম বিবাহ বার্ষিকীতে স্বামীর রক্তে লাল হলো কনিকার হাত

রোববার ছিল আনারুল-কনিকা দম্পতির প্রথম বিবাহ বার্ষিকী। তাই নিজবাড়ি চুয়াডাঙ্গা থেকে কর্মস্থল পিরোজপুরের কাউখালিতে আসছিলেন তারা। কথা ছিল দুজনে আজ সারাদিন একত্রে কাটাবেন। কাউখালিতে বসেই পালন করবেন দু’জনের বিবাহ বার্ষিকী। স্বামীর ইচ্ছায় এই দিনে হাতে মেহেদি পড়ারও কথা ছিল কনিকার। কিন্তু সেই মেহেদির রং এর পরিবর্তে স্বামীর রক্তে লাল হল কনিকার হাত।

ঘাতক বাসের চাপায় স্ত্রীর সামনেই প্রাণ গেল স্বামী আনারুলের। স্বামীর লাশের ওপর স্ত্রী কনিকার করুন আহাজারি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। আজ রোববার সকালে ঝালকাঠি-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজাপুরের নৈকাঠি এলাকায় বাস চাপায় নিহত হন আনারুল। সে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার মহনপাড়া গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে। কাউখালিতে সে অলিম্পিক কোম্পানীর খাদ্য দ্রব্যের বিক্রয় প্রতিনিধির কাজ করতো।

কনিকা বেগম জানান, আজ প্রথম বিবাহ বার্ষিকী পালনের জন্য স্ত্রীকে নিয়ে কাউখালি যাচ্ছিলেন। আজ সকালে রাজাপুরের নৈকাঠি এলাকায় আসলে রাস্তা পাড় হওয়ার সময় বরিশাল থেকে পিরোজপুর গামী নুর নোহা পরিবহনের একটি বাস (পাবনা ব-৬৫) তাকে ধাক্কা দিলে সে গুরুতর আহত হয়। স্ত্রী ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাজাপুর থানার ওসি মাসুদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি। সড়ক দূর্ঘটনার মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে বলেও জানান ওসি।



মন্তব্য চালু নেই