ক্যারিয়ার বাঁচিয়ে রাখতে প্রচারের আলোয় থাকার জন্য জন্য বলিউডের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় সারির নায়িকাদের স্ক্যান্ডাল ছড়ানো এখন যেন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। তাদের কাছে এ যেন প্রেম প্রেম খেলা! হঠাত্ করেই একদিন প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে জোরদার জল্পনা তৈরি হয়। এই নিয়ে তারা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। পরে তা গুজব বলে খারিজ করে দেন। লাভ অ্যাফেয়ার ছাড়া বিনোদন-দুনিয়ার কথা ভাবা যায় না। অনেকেই বলছেন, সিনেমা মুক্তির আগে প্রচার পেতেই প্রেম নিয়ে এই ছেলেখেলা করেন কোনও কোনও তারকা। সিনেমার মুক্তির পর দেখা যায়, সেই প্রেম গায়েব। দেখে নেওয়া যাক, কয়েকজন সেলেব্রিটি-জুটির সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা, যা সিনেমা মুক্তির পর উধাও হয়ে যায়।

জেনে নিন এমন কিছু কাহিনী : বলিউডের চকোলেট বয় শাহিদ কাপূর মীরাকে বিয়ে করেছেন। কিন্তু ‘ইশক-ভিসক’, ‘বিবাহ’, ‘লাইফ হো তো এ্যায়সি’ সিনেমায় অমৃতা রাওয়ের সঙ্গে কাজ করেছেন শাহিদ। ওই সময় দুজনের সম্পর্ক নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খুব চর্চা হয়েছিল। ‘জানে তু ইয়া জানে না’ সিনেমায় জেনেলিয়া ও ইমরান খানের সম্পর্কের কেমিস্ট্রি সাড়া ফেলেছিল। তাদের দুজনের অ্যাফেয়ার নিয়েও জোর চর্চা হয়েছিল। পরে এই সম্পর্ককে সিনেমা প্রমোশনের একটি উপায় বলে মনে করা হয়েছিল। স্টেটস’ মুক্তির আগে আলিয়া ভাট ও অর্জুন কাপূরের সম্পর্ক নিয়েও জল্পনা ছড়িয়েছিল। যখন জন আব্রাহাম ও বিপাশা ডেট করছিলেন তখন জন ও ক্যাটরিনার প্রেম নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। আসলে তা ‘নিউইয়র্ক’ সিনেমার প্রমোশনের একটা অংশ ছিল বলেই মনে করা হয়। ‘কাইটস’ সিনেমার সময় বারবারা মোরি ও হৃত্বিক রোশনের প্রেম নিয়ে জল্পনা ছড়ায়। পরে জানানো হয়েছিল যে, দুজনের মধ্যে এমন কোনও সম্পর্ক নেই। ‘দাওয়াত-এ-ইশক’ সিনেমার শ্যুটিংয়ের সময় আদিত্য রায় কাপূর ও পরিনীতার সম্পর্ক নিয়েও জল্পনা ছড়ায়। সিনেমার মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ওই জল্পনা উধাও হয়ে যায়।