প্রচারণায় উপকমিটির তালিকা তৈরি করছে আ.লীগ
আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রচারের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদকদের নামের তালিকা তৈরি করছে ।
আগামী দুই একদিনের মধ্যেই সহসম্পাদকদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। এরপরই আওয়ামী লীগের এই সহসম্পাদকরা আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ২৩৪টি পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারের জন্য মাঠে কাজ করবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর দুজন সদস্য এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় নেতারা আলোচনায় বসেন। সেই আলোচনায় শুক্রবার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে সহসম্পাদকদের প্রচারে কাজে লাগানোর প্রস্তাব দেন। এসময় উপস্থিত কয়েকজন নেতা এর বিরোধিতাও করেন।
সূত্র আরো জানায়, পৌরসভা নির্বাচনে কাজ করতে আগ্রহী সহসম্পাদক সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ের দফতর সেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কাছে নাম অর্ন্তভূক্ত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সহসম্পাদকরা যেসব পৌরসভায় নিজ নিজ উদ্যোগে কাজ করতে আগ্রহী সেই পৌরসভার নামও জমা দিতে বলা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, সহসম্পাদকদের পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারে কাজে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভালোর চেয়ে খারাপ হতে পারে। কারণ সহসম্পাদকরা তৃণমৃল আওয়ামী লীগের নেতা এবং প্রার্থীদের বয়স এবং রাজনীতির অভিজ্ঞতার তুলনায় অনেক প্রবীণ। এ কারণে সমন্বয়হীনতা তৈরি হতে পারে।
কারণ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এবারই প্রথম দলীয়ভাবে মেয়র পদে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশের মোট ৩২৩টি পৌরসভার মধ্যে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২৩৪টিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। মেয়র পদ দলীয় হলেও সাধারণ এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোট হবে নির্দলীয়ভাবে। এবার নির্বাচনে মোট ১৯টি দল মেয়র পদে প্রার্থী দিয়েছে। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে অন্তত ২৩১ পৌরসভায়, বিএনপির ধানের শীষে অন্তত ২২৪ পৌরসভায় ও জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকে ৮৫ পৌরসভায় দলীয় প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আর ২৩৪ পৌরসভায় দলীয় ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন নয় শতাধিক প্রার্থী। সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে লড়ছেন সহস্রাধিক নির্দলীয় প্রার্থী।
ইসির নির্দেশনা অনুসারে, প্রতীক ছাড়াই গত ৯ ডিসেম্বর থেকে জনসংযোগ-পথসভা শুরু করেছেন প্রার্থীরা। ভোট শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ করতে হবে প্রার্থীদের। ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। সেক্ষেত্রে ২৮ ডিসেম্বর রাত ১২টায় প্রার্থীদের প্রচার শেষ করতে হবে।
মন্তব্য চালু নেই