প্রকাশ্যে দেখা মিলল তিন্নির
হারিয়ে গিয়েছিলেন তিনি- টেলিভিশন পর্দা এবং ভক্তদের মাঝথেকে। শুধুমাত্র অভিনয় নয়- গণমাধ্যম, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট এমনকি মোবাইল কিংবা ফোনেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলেন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি। প্রেম, বিয়ে ও সন্তানকে নিয়েই ক্যারিয়ারে ব্যস্ত ছিলেন, ছন্দপতন হয় বিচ্ছেদের পরে। তবে আশা করা যায়- কিছুদিনের মধ্যেই আবার মূলস্রোতে ফিরবেন তিনি।
মিডিয়াতে তিন্নির অনুপস্থিতি জন্ম দেয় নানা গুঞ্জন। মাদকাসক্তি, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, গৃহবন্দী, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রাবাস এবং নিত্য নতুন সম্পর্কের কথা ছড়িয়ে পরে নানা সময়ে। কিন্তু এসব গুঞ্জনের সত্যমিথ্যা যাচাই কারার কোন উপায় রাখেননি তিনি নিজেই। হঠাৎ করে ফেসবুকে নিজের একটি ছবি পোস্ট করলে গুজবের পালে হাওয়া লাগে। রূপ লাবন্য ঝরে যাওয়া তিন্নিকে ছবিতে চেনা রীতিমতো দুষ্কর।
২০০৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর অভিনেতা আদনান ফারুক হিল্লােলকে বিয়ে করেন তিন্নি। অবশ্য তাতে ভাঁটা পরেনি তার ক্যারিয়ারে। তবে তাদের দাম্পত্য প্রেমের একটি ভিডিও প্রকাশ হয়ে গেলে বিকর্তিত হন এই জুটি। কিছুদিনের মধ্যেই সন্তান ধারণ করেন তিন্নি। জন্ম নেয় কন্যা ওয়ারিশা। দাম্পত্য কলহের জের ধরেই ২০০৯ সালের শেষের দিকে তিন্নি-হিল্লোল আলাদা থাকতে শুরু করেন। বিবাহ বিচ্ছেদে অনাগ্রহী ছিলেন, তবুও ২০১২ সালের শুরুর দিকে হিল্লোলের পাঠানো ডিভোর্স লেটারে স্বাক্ষর করেন তিন্নি।
মেয়ের অভিভাবকত্ব নিয়ে প্রাক্তন স্বামী হিল্লোলের সঙ্গে মামলা নিয়েও প্রচারের আলোয় আসেন তিন্নি। ‘এই মায়া’ নামের একটি টেলিছবিতে সর্বশেষ অভিনয় করেছিলেন তিনি। শাহরিয়ার নাজিম জয়ের লেখা নাটকটি পরিচালনা করেছিলেন চয়নিকা চৌধুরী। সম্প্রতি ফেসবুকে মেয়েকে নিয়ে অনেকগুলো ছবি পোস্ট করেন তিন্নি- এসব ছবিতেই খুঁজে পাওয়া যায় হারিয়ে যাওয়া মডেল ও অভিনেত্রীকে। ছবিতে তিন্নি ও ওয়ারিশার সঙ্গে ছিলেন নির্মাতা কৌশিক শঙ্কর দাস।
অবশেষে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ফিরলেন শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি। মিডিয়া সংশ্লিষ্ট অনেক মানুষ এবং ভক্তদের আশা- জীবনের কালো অধ্যায়কে ভুলে গিয়ে আবারও আগের মত ব্যস্ত হয়ে পড়বেন তিন্নি, নিয়মিত অভিনেত্রী হিসেবে তাকে দেখা যাবে নাটক, টেলিফিল্ম ও চলচ্চিত্রে।
মন্তব্য চালু নেই