প্রকাশ্যেই বৃদ্ধকে বেধড়ক পেটালেন যুবলীগ নেতা
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নে এক বৃদ্ধকে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে পেটানোর ঘটনায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জমশেদ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জমশেদ গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড হয় গতকাল শুক্রবার। এরপর বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হলে পুলিশ আজ শনিবার গজনাইপুরের ফুলতলী বাজার থেকে জমশেদ আলীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। এ দৃশ্য একনজর দেখতে উৎসুক জনতা থানায় ভিড় করে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সাতাইহাল গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা জমশেদ আলী কথিত গরু চুরির অভিযোগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রোববার রাতে একই গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধ মো. আবু বক্করকে (৬০) তাঁর বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। আবু বক্করকে সারা রাত আটকে রেখে পরের দিন সোমবার দুপুরে সাতাইহাল পাঁচ মৌজার খেলার মাঠে নিয়ে যান জমশেদ। সেখানে আশপাশের গ্রামের দুই শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান জমশেদ ও তাঁর লোকজন। এ সময় আবু বক্কর বারবার কনিষ্ঠ জমশেদের পা ও লাঠি ধরে তাঁকে না মারার আকুতি জানান।
পরে আবু ব্ক্করের আত্মীয়স্বজন তাঁকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
এদিকে মারপিটের এই ঘটনা জমশেদ ও স্থানীয় সমাজপতিরা চাপা দিয়ে রাখেন। কিন্তু গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আবু বক্করকে নির্যাতনের ভিডিও আপলোড করা হয়। এরপর সাড়া পড়ে যায় নবীগঞ্জসহ পুরো হবিগঞ্জে। এ নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় ওঠে।
এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধের মেয়ে রেখা বেগম যুবলীগ নেতা জমশেদের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনকে আসামি করে নবীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
শনিবার দুপুরে থানার গোফলার বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসআই) আবদুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ স্থানীয় ফুলতলী বাজার থেকে জমশেদ আলীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে উৎসুক জনতা তাঁকে একনজর দেখতে থানায় ভিড় করেন।
মন্তব্য চালু নেই