পেট্রোল পাম্পে ৯ ঘন্টার ধর্মঘট চলছে

পেট্রোল পাম্পগুলোয় ধর্মঘট চলছে। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত সারাদেশে এই কর্মসূচি দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাঙ্কলরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ধর্মঘটের কারণে তেলচালিত অনেক পরিবহন অচল হয়ে পড়ছে। ডিজেল ও পেট্রোলের আশায় চালকরা পাম্পের সামনে অপেক্ষা করছেন।

রাজধানী ঢাকার আসাদগেট থেকে গাবতলী পর্যন্ত একাধিক পেট্রোল পাম্প ঘুরে দেখা গেছে, এগুলোয় পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেন বিক্রি বন্ধ আছে। তেল নিতে এসে অনেকেই বিফল হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। তবে যেসব পাম্পে তেলের পাশাপাশি সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস- সিএনজি) বিক্রি হয়, সেগুলোয় সিএনজি বিক্রি করা হচ্ছে।

এদিকে কমিশন ও ট্যাঙ্কলরির ভাড়া বাড়ানোসহ ১২ দফা দাবিতে ৯ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছে পেট্রোল পাম্প ও ট্যাঙ্কলরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এই কারণে সারাদেশের ডিপো থেকে তেল উত্তোলন, ট্যাঙ্কলরির মাধ্যমে পরিবহন এবং পেট্রোল পাম্পে বিপণন বন্ধ আছে। গত ২০ আগস্ট এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলো ঐক্য পরিষদ।

এ বিষয়ে ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাজমুল হক জানিয়েছেন, কমিশন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে তারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। বার বার কথা দিয়েও সরকার তাদের দাবি মানছে না। সম্প্রতি এ বিষয়ে জ্বালানি বিভাগে তিন দফা চিঠি দিয়েও উত্তর পাওয়া যায়নি। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে সরকারকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়; কিন্তু দাবি মানা বা এ বিষয়ে আলোচনার জন্য সরকারের পক্ষ কোনো প্রস্তাব না আসায় তারা ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এরপরও দাবি না মানলে টানা ধর্মঘটের করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

নাজমুল হক বলেন, গত কয়েক বছরে পেট্রোল পাম্প পরিচালনায় ব্যয় কয়েক গুণ বেড়েছে; কিন্তু কমিশন বাড়ানো হয়নি। ২০১১ সালের হিসাবেই পাম্প মালিকদের কমিশন দেওয়া হচ্ছে। কমিশন বাড়ানো না হলে পাম্প চালানো সম্ভব হবে না।

ঐক্য পরিষদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, জ্বালানি তেল পরিবহনে ট্যাঙ্করির ভাড়া বৃদ্ধি, তেল বিক্রিতে পাম্পের কমিশন বৃদ্ধি, সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের ইজারা নেওয়া জমির বর্ধিত মাসুল প্রত্যাহার।



মন্তব্য চালু নেই