পৃথিবীর সকলেরই সবজিভোজী হওয়া উচিত যে কারণে
আরো বেশি বেশি ফল এবং সবজি খেলে এবং লাল ও প্রক্রিয়াজাতকৃত মাংস খাওয়া বন্ধ করলে আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। আবার মুরগি এবং গরু প্রচুর খাদ্য খায় এবং নিজেদের শক্তি পোড়ায়।
মাংস জলবায়ু পরিবর্তনের একটি প্রধান চালিকা শক্তিও বটে। আর সবজিভোজী হলে কার্বন নিঃসরণে আপনার ভুমিকাও ব্যাপকভাবে কমে আসবে। এসব ঘটবে শুধু ব্যক্তিগত পর্যায়ে। কিন্তু ৭০০ কোটি মানুষই যদি এই খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করেন তাহলে কী ঘটবে?
ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষরা যদি সবজিভোজী হয়ে যান তাহলে ২০৫০ সালের মধ্যেই প্রতিবছর অন্তত ৫০ থেকে ৮০ লাখ অকাল মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হবে। বৈশ্বিক মৃত্যু হার ৬-১০% কমে আসবে এর ফলে।
আর তা ছাড়া এর ফলে খাদ্যসংশ্লিষ্ট কার্বন নিঃসরণও দুই তৃতীয়াংশ হারে কমে আসবে। আর সমাজে এর মূল্য হবে ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। যা ৩০ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাবে। ২০৫০ সালে বৈশ্বিক জিডিপির এক দশমাংশ। পিএনএস জার্নালে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বর্তমানে যে হারে মাংস খাওয়া বাড়ছে তা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনে খাদ্য থেকে নিঃসরিত কার্বনই অর্ধেক ভুমিকা রাখবে। অর্থাৎ, যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরিত হলে ২০৫০ সালে বিশ্ব তাপমাত্রা বিপৎসীমা অর্থাৎ শিল্প বিপ্লবের আগের সময়ের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছাড়িয়ে যাবে তার অর্ধেকেই নিঃসরিত হবে মানুষের খাদ্য থেকে।
গবেষণায় দেখা গেছে, পুরো বিশ্বের মানুষ যদি সবজিভোজী হয়ে যায় তাহলে খাদ্যসংশ্লিষ্ট কার্বন নিঃসরণ কমবে ৭০%। বিশ্ব তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার শিল্প বিপ্লবের আগেকার সময়ের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য এই হার বিশাল ভূমিকা পালন করবে।
আর এর অর্থনৈতিক উপকারিতাও রয়েছে বিশাল। এর ফলে প্রতিবছর অন্তত ৭০০ থেকে ১ হাজার বিলিয়ন ডলার পরিমাণ অর্থ অপচয় রোধ করা যাবে। স্বাস্থসেবার ব্যয় ও কর্মস্থলে অনুপস্থিতির ফলে যে আর্থিক ক্ষতি হয় তা থেকে এই অর্থ বাঁচানো যাবে। শুধু তাই নয় এই সঞ্চয় ২০ থেকে ৩০ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে। আর খাদ্যসংশ্লিষ্ট কার্বন নিঃসরণ কমার ফলে পরিবেশের যে উপকার হবে তা থেকে বেঁচে যাবে ৫৭০ বিলিয়ন ডলারের অপচয়। সূত্র : দ্য ইনডিপেনডেন্ট
মন্তব্য চালু নেই