পুলিশ কর্মকর্তা যখন টিভি পর্দার অভিনেতা
এলাকায় প্রভাব বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব শুরু হয় মিস্টার এক্স ও লাল মিয়ার দলের। ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া, খুন, হত্যা চরমে পৌঁছালে মার খেতে খেতে পিছু হটে মিস্টার এক্স এর দল। অন্যদিকে ডিলার, এজেন্টসহ সবার নির্ভরতার জায়গা হয়ে উঠে লাল মিয়া। লাল মিয়ার ডান হাত বোরকা পরা এক মেয়ে আর বাম হাত আনোয়ার, যাকে সে ছোট বেলা থেকে বড় করেছে। এদিকে ক্ষেপে যায় মিস্টার এক্স। তার প্রধান অস্ত্র আগুনকে ঢাকাতে ডেকে পাঠায় তক্তার শেষ পেরেকটি ঠুকে দিতে।
আগুন ফটোগ্রাফারের বেশে ইন্টারভিউ নেয় ছদ্মবেশে থাকা লাল মিয়ার প্রধান রিক্রুট বিন্দিয়ার। আগুনকে পরিবারের কথা জিজ্ঞেস করায় আগুনের চোখে ভেসে ওঠে দড়িতে ঝুলে থাকা তার বাবার লাশ এবং মায়ের নতুন প্রেমিককে খুন করার দৃশ্য। এভাবে নানা ক্লাইমেক্সে নাটকটির গল্প সাজানো হয়েছে।
ছয় পর্বের বিশেষ এ নাটকটির নাম ‘এমবুশ’। গল্প লিখেছেন প্রীতি দত্ত। আর পরিচালনায় বিশ্বজিৎ দত্ত ও প্রীতি দত্ত। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন ‘আমার নাম মফিজ’ খ্যাত জনপ্রিয় অভিনেতা খন্দকার লেনিন। তার সঙ্গে রয়েছেন সাদিকা স্বর্ণা, পাভেল ইসলাম, নিজাম আব্রাহাম প্রমূখ।
নাটকটিতে অভিনয় সম্পর্কে বাংলাদেশ পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও এই নাটকের অভিনেতা খন্দকার লেনিন বলেন, নাটকটিতে আমাকে ২ টি খুনের দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়েছে। যা আমার অভিনয়ের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জের ছিল। এ ধরনের চরিত্রে এই প্রথম। আশা করি দর্শকরা অভিনেতা লেনিনের ভিন্নরুপ দেখতে পাবেন।
দিয়াবাড়ি, কাওরান বাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন লোকেশনে নির্মিত এই নাটকের টিম ওয়ার্ক খুব ভাল ছিল বলে জানান খন্দকার লেলিন। নির্মাতা বিশ্বজিৎ দত্ত জানিয়েছেন, শ্যূটিংয়ের সব কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু পোস্ট প্রোডাকশানের কাজ। আশা করছি সবারই ভাল লাগবে। নাটকটি প্রচারিত হবে আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৩০ মিনিটে, জিটিভির পর্দায়।
মন্তব্য চালু নেই