পুলিশের সঙ্গে থেকে শিক্ষার্থীদের সেটেলমেন্ট অফিসারের লাঠিপেটা!

নোয়াখালীতে মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাট্স) আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের পুলিশের সঙ্গে থেকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছেন জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে কর্মরত সদর সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মিজানুর রহমান।

বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের তৃতীয়তলায় মিজানুর রহমানের অফিস হলেও তিনি প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে ম্যাট্স’র নিজস্ব ক্যাম্পাসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পেটান।

এ ঘটনায় অভিভাবকসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনার ঝড় উঠে। বিষয়টি তদন্ত করে বিচারের দাবি জানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন।

ম্যাট্স’র তৃতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া নাসরিন বলেন, ‘একজন সেটেলমেন্ট অফিসার বিনা অনুমতিতে আমার ক্যাম্পাসে ঢুকে পুলিশের সঙ্গে থেকে আমাদেরকে পেটায়। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন-বিএমএ নোয়াখালী জেলার সাধারণ সম্পাদক ডা. ফজলে এলাহী খান এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

জেলা ছাত্রলীগে সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রহমত উল্যাহ ভুইয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি যুক্তিপূর্ণ। কিন্তু সেখানে সেটেলমেন্ট অফিসার মিজানুর রহমান আইন বহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থীদেরকে লাঠিপেটা করেছেন। এ ঘটনার বিচার হওয়া দরকার।

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরুল আমিন খান বলেন, ওই সেটেলমেন্ট অফিসার মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

এ ঘটনার বিষয়ে ব্ক্তব্য নিতে চাইলে পুলিশের পক্ষ থেকে কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এখানে তার (সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা) আসা উচিত হয়নি।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকালে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল শেষে জেলা প্রসাশকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে শিক্ষার্থীরা দৌড়ে তাদের ক্যাম্পাসে চলে যান। সেখানে সেটেলমেন্ট অফিসার মিজানুর রহমান পুলিশের সঙ্গে থেকে শিক্ষার্থীদেরকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান। এতে কমপক্ষে ২০ জন ছাত্রছাত্রী আহত হন।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে অন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য নোয়াখালী ম্যাটস বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

অধ্যক্ষ ডা. মো. শাহাব উদ্দ্দিন জানান, রাতেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ নেয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই