পুলিশের না, প্রিজাইডিং অফিসারের হ্যাঁ

নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা মেনে এবং তাদের দেওয়া অনুমতি পত্র নিয়ে ঢাকা সিটি নির্বাচনের নিউজ সংগ্রহের জন্য সকাল থেকে কেন্দ্র কেন্দ্র ধুরে বেড়াচ্ছেন সংবাদকর্মীরা। নির্বাচনী কেন্দ্রে কোন অনিয়ম হচ্ছে কিনা বা ভোট গ্রহনে কোন প্রকার সমস্যা আছে কিনা জানার জন্য তারা শরণাপন্ন হচ্ছেন প্রিজিইডিং অফিসারের। কিন্তু সেখানেই বড় বিড়ম্বনা!

রাজধানী ঢাকার ১৪নং ওয়ার্ডের গজমহল ট্যানারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রবেশ করতে গেলে বাধ সাধেন পুলিশ কর্মকর্তারা। তাদের কথা, কেন্দ্রে সাংবাদিক প্রবেশ নিষেধ। কেন্দ্রের মধ্যে কোন সাংবাদিক প্রবেশ করতে পারবে না। কেন প্রবেশ করতে পারবে না, জানতে চাইলে এক পুলিশ সদস্য একটু রেগে গিয়ে বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারের নির্দেশ আছে কোন সাংবাদিক সাথে ক্যামেরা নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ না করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

সাংবাদিকরা সঙ্গে থাকা অনুমতি পত্র দেখালে তিনি বলেন, এটা থাকলেও কিছু করার নেই। আমাদের নির্দেশ দেওয়া আছে সাংবাদিকদের ঢুকতে না দেয়ার। তখন ওই পুলিশ সদস্যকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেন।

স্কুলের তিন তলায় ২৩০নং কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার মো. শহিদুজ্জামানের কাছে সাংবাদিক কেন্দ্রে না প্রবেশ করতে দেওয়ার নির্দেশের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এমন কোন আদেশ দিইনি। আপনারা আপনাদের নীতিমালার মধ্যে থেকে সকল কাজ করতে পারবেন। ছবিও সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে বেশিক্ষন স্থায়ীভাবে ভোট কক্ষে অবস্থান করতে পারবেন না। যে পুলিশ সদস্য আপনাকে এ নির্দেশের কথা বলেছেন, তিনি সঠিক বলেননি।’

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার শাহ্নেওয়াজ বলেন, ‘সাংবাদিকদের ক্যামেরা নিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ শুনেছি। কিছু কিছু স্থানে এমন ঘটনা ঘটেছে। তাই আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি যেন তারা সাংবাদিকদের কাজে কোন বাধা না দেন। তার পরেও যদি কেউ বাধা দেন তাহলে আপনারা আমাদের কাছে বলবেন, আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১১টারদিকে রাজধানীর মিরপুর বাংলা স্কুল এন্ড কলেজ, কালশী ইসলামীয়া উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে গণমাধ্যমকর্মীরা প্রবেশকালে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। তবে প্রিজাইডিং অফিসার গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ করতে বলেন।

একটি ভোট কেন্দ্রের গেটে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের এসআই শাহজাহান বলেন, আপনারা ভেতরে প্রবেশ করে কোন প্রকার ছবি তুলতে বা কারও সাক্ষাৎকার নিতে পারবেননা। পরে সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার বলেন, পুলিশ এব্যাপারটি ক্লিয়ার বুঝতে পারেনি।

গণমাধ্যমকর্মীরা কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে এসআই শাহজাহান বলেন, আপনারা এখানকার প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন।

প্রিজাইডিং অফিসার মাহমুদ হাসান পারভেজ বলেন, আসলে পুরো বেপারটা পুলিশ ক্লিয়ার না। তারা নিরাপত্তার বিষয়টি দেখছে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে এধরনের ঘটনা ঘটছে।

প্রিজাইডিং অফিাসারের সঙ্গে কথা বলার পর ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে ভোটারদের ভোট দিতে। এখানে ৫টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই