পুলিশের কানের পর্দা ফাটানো সেই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

চড় মেরে পুলিশ সদস্যের কানের পর্দা ফাটানো মামলার আসামি শরীয়তপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আকতার হোসেন ঢালিকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মালয়েশিয়া পালিয়ে যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার সকালে তাকে পালং মডেল থানায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
একই ঘটনায় জড়িত সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন হাওলাদার ও আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান জাগরনকে গত ৩ নভেম্বর ঢাকার শেরেই বাংলা নগর এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
গত ১ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে শরীয়তপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন হাওলাদারের ভাগ্নে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আকতার হোসেন ঢালি ও আওয়ামী লীগ নেতা ও পালং তুলাসার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখ খলিলুর রহমান জাগরন সদর হাসপাতালে এসে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার দেবাশীষ সাহা’র কাছে একটি ভুয়া সার্টিফিকেট দাবি করে। ডাক্তার মিথ্যা সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার অফিস কক্ষে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তারা। ঐ সময় ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে আসা সেখানে উপস্থিত রোগী পুলিশের নায়েক সেলিমুজ্জামন মাতুব্বর প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর ও চড় মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয় আসামিরা। এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় আলাদা আলাদা দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপর থেকে আসামিরা গা ঢাকা দেয়। দীর্ঘ ২৪ দিন পলাতক থাকার পর আকতার হোসেন ঢালিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আকতার হোসেন ঢালিকে ঢাকা শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে তাকে শরীয়তপুরে নিয়ে আসা হবে।
মন্তব্য চালু নেই