পুলিশের এক স্টাফ অফিসারের কাণ্ড
পুলিশ সদর দফতরের স্টাফ অফিসার মো. আইয়ুব আলী। পুলিশে যোগদান থেকে শুরু করে চাকরিরত অবস্থা পর্যন্ত নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশে যোগদান, ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানীতে এনজিও ব্যবসা পরিচালনা করা, হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার, নিজ এলাকায় মাদক ব্যবসা করা, এমনকি পুলিশের গোপন তথ্য বিরোধীপক্ষকে পাচারসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত।
এমন সুনির্দিষ্ট নানা অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি এমন অভিযোগ আমলে নিয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আল আমিনকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ও উপপরিচালক বেনজীর আহমেদকে তদারককারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে কমিশন। দুদকের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
দুদক সূত্রে এ বিষয়ে জানা যায়, পুলিশ সদর দফতরের স্টাফ অফিসার মো. আইয়ুব আলী অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়ন তার স্থায়ী ঠিকানা। অথচ পুলিশে নিয়োগের সময় পটুয়াখালী জেলায় কোনো কোটা না থাকায় তিনি ঢাকার ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে নিয়োগ নিয়েছেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়, মো. আইয়ুব আলী পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শকের (প্রশাসন) সঙ্গে থাকার সুবাদে বিরোধীপক্ষকে বিভিন্ন লোকের অনেক গোপন তথ্য পাচার করে দিয়ে সরকারকে বিপাকে ফেলতে সহযোগিতা করে আসছেন, যার অনেক প্রমাণ পুলিশ দফতরে রয়েছে।
এনজিও ব্যবসার বিষয়ে জানা যায়, রাজধানীর বাড্ডায় ইউনাইটেড সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট নামের একটি এনজিও খুলে তা তার স্ত্রী ও অন্যদের দিয়ে পরিচালনা করে আসছেন আইয়ুব আলী। এনজিওতে বিনিয়োগকৃত নিজের টাকা বিদেশে তার আত্মীয়দের মাধ্যমে অনুদান দেখিয়ে তা বৈধ করে কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
সূত্র আরো জানায়, মো. আইয়ুব আলী পুলিশ সদর দফতরের আইজিপি ও অতিরিক্ত আইজিপির ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন কৌশলে অর্থ অদায় করে চলছেন। রয়েছে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার, নিজ এলাকায় বিভিন্ন লোকজন দিয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশে মাদক ব্যবসায় পরিচালনা করার অভিযোগ।
যার মাধ্যমে তিনি ঢাকায় জমি, ফ্ল্যাট, একাধিক গাড়িসহ কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। পুলিশ সদর দফতরের আইজিপি ও অতিরিক্ত আইজিপির স্টাফ অফিসার হিসেবে কাজ করার কল্যাণে তিনি অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন।
মন্তব্য চালু নেই