আদালতের আদেশে দীর্ঘ ১০ বছর পর
পুর্নজ্জীবিত হলো শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলার মামলা
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আওয়ামীলীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ী বহরের হামলার ঘটনার দীর্ঘ ১০ বছর পর ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতের ম্যাজিট্রেট নিতাই চন্দ্র সাহা বাদীর মামলাটি এজহার হিসেবে রের্কড করতে কলারোয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা আদালতের সরকারী কৌশলী এ্যাডভোকেট ওসমান গনি জানান, ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট তৎকালিন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলারোয়ায় ধর্ষিতা গৃহবধু মাহফুজা কে দেখতে সাতক্ষীরায় আসেন। শেখ হাসিনা বিএনপি ক্যাডারদের নির্যাতনের শিকার মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মাহফুজা বেগমের দেখে ঢাকায় ফিরে যাওয়ার পথে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পৌছুলে বিএনপি দলীয় তৎকালিন সংসদ সদস্য জেলা বিএনপির সাবেক সভাপিত হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নির্দেশে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনরার গাড়ী বহরে হামলা করে। হামলাকারীরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্যেশে গুলি বর্ষন করে। এতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও সফর সঙ্গী অনেকে সেসময় আহত হন। হামলার শিকার হন সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া কয়েকজন সাংবাদিক।
এঘটনায় তৎকালিন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় একটি এজহার দায়ের করেন। কিন্ত তৎকালিন ওসি গোলাম কিবরিয়া মামলাটি রেকর্ড করেননি। ফলে বাদী সাতক্ষীরা নালিশী আদালতে মামলা করেন। মালায় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৬০-৭০ জনকে আসামী করা হয়।
আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য কলারোয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিলেও পুলিশ আসামীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলার ঘটনাটি মিথ্যা বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। ফলে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়। পরে ২০০৪ সালে বাদী নিন্ম আদালতের বিচার না পেয়ে নিন্ম আদালতের আদেশের প্রতি চ্যালেঞ্জ করে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে মামলাটির আপিল করে। পরে দীর্ঘদিন পরে উচ্চ আদালত ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই মামলাটি সাতক্ষীরা চিফজুডিসিয়াল আদালতে পাঠিয়ে মামলাটির পুন:বিবেচনার আদেশ দেন।
বুধবার সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল আদালতে দীর্ঘ শুনানী শেষে বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা কলারোয়া থানার ওসিকে মামলাটি এজহার হিসেবে গন্য করে ব্যবস্থা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দিয়েছেন। ফলে দীর্ঘ ১০ বছর পর আলোচিত আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার হত্যা প্রচেষ্টা মামলার বিচারের আশা দেখা দিয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই