পুরোদস্তুর ‘স্পিনার’ নাসির হোসেন

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে যেভাবে বোলিং পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন মাশরাফি, দ্বিতীয় ম্যাচেও সেই একই পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামেন। প্রথমে আরাফাত সানীকে দিয়ে বোলিং করানোর পর দ্বিতীয় ওভারে বল তুলে দেন নাসির হোসেনের হাতে। প্রথম ম্যাচে টানা দুই ওভার করে গেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে আর বল হাতে পাননি নাসির। প্রথম ওভারে বিনা বাউন্ডারিতে ৯ রান বিলিয়ে আসেন নাসির। পরবর্তী ওভারের জন্যে ১১তম ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় ডানহাতি এই অফস্পিনারকে।

তবে ১২তম ওভারে বোলিংয়ে এসে নাকানিচুবানি খাওয়ান প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের। প্রথম বলে জেপি ডুমিনি সুইপ করে ডিপ স্কয়ার দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকালেও দ্বিতীয় বলেই বদলা নিয়ে নেন নাসির। এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে ব্যাটের কানায় গেলে হাওয়ায় ভেসে যায়। মাটিতে পড়ার আগে বল জমা হয়ে যায় সাকিব আল হাসানের হাতে।

পরের বলে নাসিরের শিকার ডেঞ্জারম্যান এবি ডিভিলিয়ার্স। লেগ সাইড দিয়ে নাসিরের বের হয়ে যাওয়া বল এবি ডিভিলিয়ার্সের ব্যাট ছুঁয়ে যায় মুশফিকের হাতে। ওভারের শেষ বলে কিলার মিলারকে বধ করার জন্যে জোড়ালো আবেদন করেছিলেন নাসির, সাকিব ও মুশফিকরা। কিন্তু আম্পায়ার আনিসুল হকের আঙ্গুলের দেখা পায়নি কেউই।

পরের দুই ওভারেও ভালো বোলিং করে নজর কাড়েন নাসির। কোনো উইকেট না পেলেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় স্কোর গড়তে আটকে রাখেন। শেষ দুই ওভারে ছিল না কোনো বাউন্ডারিও।

ইনিংসে বাংলাদেশের সেরা বোলার নাসির ৪ ওভারে ২ উইকেটে ২৬ রান খরচ করেন । ডানহাতি এই অফ স্পিনারের ১২ বলে কোনো রান নিতে পারেনি প্রোটিয়া ব্যাটস্যানরা।



মন্তব্য চালু নেই