পুরুষাঙ্গ ছেদনই একমাত্র শাস্তি, মনে করেন মীরা!
পুরুষাঙ্গ ছেদন আদিমতম শাস্তিগুলির একটি। আধুনিক সভ্যতার সূত্রপাতের সঙ্গে সঙ্গে, বিশেষ করে ঔপনিবেশিক সময় থেকেই ধীরে ধীরে রাষ্ট্রীয় বিচারব্যবস্থা থেকে সরে যেতে থাকে ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট। বিংশ শতাব্দীতে পুরুষাঙ্গ ছেদন, মুণ্ডচ্ছেদ, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ছেদন ইত্যাদি শাস্তিগুলি প্রায় সব দেশেরই রাষ্ট্রীয় কাঠামো থেকে বিলুপ্ত হলেও সমাজ থেকে বিলুপ্ত যে নয়, মাঝেমধ্যেই সংবাদের শিরোনাম তার প্রমাণ।
এখন প্রশ্ন হল, ধর্ষণ-খুনের অপরাধীর কি সত্যিই হাজতবাসের মতো ‘সহজ’ শাস্তি হওয়া উচিত নাকি পুরুষাঙ্গ ছেদনের মতো শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণাময় শাস্তিই তার প্রাপ্য? এই বিতর্ক আবার উসকে দিয়েছেন দক্ষিণী অভিনেত্রী মীরা জেসমিন। তাঁর নতুন ছবির প্রচারে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘যারা মহিলাদের যৌননিগ্রহ করে, তাদের অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি হওয়া উচিত এবং একমাত্র পুরুষাঙ্গ ছেদনই তাদের মতো মানুষের শিক্ষা দেওয়ার পক্ষে উপযুক্ত’।
মীরার নতুন ছবি একটি বাস্তব ঘটনার উপর নির্মিত। এক দলিত মহিলার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয় ছবির গল্প। সেই ছবির সাংবাদিক সম্মেলনে এসেই পুরুষাঙ্গ ছেদন সম্পর্কে মতামতটি প্রকাশ করেন মীরা। তবে তিনি একা নন, এই মতামত পোষণ করেন এমন মানুষের সংখ্যা এদেশে নেহাত কম নয়। নির্ভয়ার মৃত্যুর সময়েও ধর্ষকদের এমন পরিণতিই দাবি করেছিলেন দেশের বহু মানুষ।
এই ধরনের শাস্তির তীব্র বিরোধিতা করেন মানবাধিকার কর্মীরা। তবে কি যাঁরা ধর্ষক-খুনিদের এমন শাস্তির কথা বলেন, তাঁরা অমানবিক? মীরার এই মন্তব্যে আবারও জীবন্ত হয়ে উঠল সেই প্রশ্ন। মীরার বক্তব্য, যারা এই ধরনের জঘন্য অপরাধ করে, তাদের এতটাই যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দিলে তবেই তারা জীবনে আর অন্য কোনও নারীকে স্পর্শ করতে সাহস পাবে না!
মন্তব্য চালু নেই