দীপালি আর লিজা দুজনের মধ্যে আগে একজন রিপন আরেকজন দুলাল নামের পুরুষ জাতীয় হিজড়া ছিল। এক বছর আগে পুরুষাঙ্গ কেটে দীপালি থেকে রিপন আরেকজন লিজা থেকে দুলাল হয়েছেন। এখন দেহ ব্যবসা করেন তারা। এভাবেই পুরুষাঙ্গ কেটে অভিনবভাবে দেহ ব্যবসা করছে হিজড়ারা।

সম্প্রতি বেসরকারি একটি টেলিভিশনের একটি অনুসন্ধানি প্রতিবেদনে এমনই আশ্চর্যজনক তথ্য উঠে এসেছে। অনুসন্ধানি প্রতিবেদনে উল্লেখিত চট্টগ্রামের ঝুমু হিজড়া জানায়, হিজড়া সম্প্রদায়ের সাথে যোগ দিতে অনেকে তাদের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে। জোর করে এমন ঘটনা ঘটানোর তথ্যও এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে উঠে আসে, ১০-১২ হাজার টাকা দিয়েই ধামরাইয়ের রোম আমেরিকান হাসপাতালের গোলাম রহমান শাহজাহানের কাছে অপারেশন করে পুরুষাঙ্গ কাটে এ হিজড়ারা। এপর্যন্ত ৪’শ জনের অপারেশন করে পুরুষাঙ্গ কেটেছেন বলে দাবি গোলাম রহমান শাহজাহানের। পুরুষাঙ্গ কাটা যাবেনা বলে আইনের কোথাও নেই বলে দাবি তার।

কিন্তু প্রতিবেদনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান ডাক্তার আশরাফ উল হক বলেছেন তার উল্টো কথা। তিনি বলেন, এটা মারাত্মক অপরাধ, একজনকে বিকলাঙ্গ করার শামিল।

এ অপরাধ কর্মকাণ্ড ছাড়াও ছিনতাইসহ নানারকম অপরাধে হিজড়ারা জড়িত রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। অপরাধ কর্মকাণ্ড করে এমন কমপক্ষে ১০টি সিন্ডিকেট রাজধানী ঢাকায় রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।

এদের মধ্যে শ্যমপুর, ডেমরা, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা লায়লা হিজড়া, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর হামিদা হিজড়া, ধামরাই, সাভার মনু হিজড়া, সায়েদাবাদ, মতিঝিল আবুল হিজড়া, পুরান ঢাকা দিপালী হিজড়া, উত্তরা নাজমা হিজড়া, ফার্মগেট, চন্দ্রিমা উদ্যান, গুলশান হায়দার ও স্বপ্না হিজড়া নিয়ন্ত্রন করে থাকে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

অন্যদিকে এ প্রতিবেদনে আরও একটি অবাক করা তথ্য উঠে এসেছে। হিজড়াদের নেতৃতে থাকা অনেকেই হিজড়া নয়। তাদের পরিবার, ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী বা স্বামী রয়েছে। এমনই একজন হলেন গীতা হিজড়া। তার অধীনে আছে ২’ শ হিজড়া। চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে থাকে সে। নামে হিজড়া হলেও স্ত্রী-সন্তান সবই আছে তার।

অন্যদিকে সিলেটের কদমতলা এলাকায় থাকে সিলেট বিভাগের নেত্রী গুরুমা সুন্দরী ম্যাডাম হিজড়া। কিন্তু গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তার নাম ফরহাদ। তারও স্ত্রী এবং সন্তান আছে। সেও আসলে চট্টগ্রামের গীতার মত হিজড়া নয়।

ভিডিও:

https://youtu.be/tTDSivVRLZQ?list=PL_d4IAKYcMMvjSiQEBzZsyf8nYwXufAc9