পুরুষাঙ্গ কেটে পলিথিনে মুড়িয়ে রাজধানীর বাড্ডা থানায় হাজির স্ত্রী!

কম-বেশি সব সংসারেই ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে। তবে ঝগড়ার কিছুক্ষণ পরে দু’জনের মান অভিমান ভেঙ্গে যাওয়ার পর, আবারও সব ঠিক হয়ে যায়। আসে ভালবাসা। আসে অপার শান্তি। কিন্তু দু’জনের মধ্যে তৃতীয় বা চতুর্থ কোন ব্যক্তি ঢুকে পড়ে তাহলে সেই বিবাদ ঠিক হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তেমনি একটি ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায়।

রিকশাচালক স্বামী ফজল মিয়ার সঙ্গে তিন সন্তান নিয়ে সংসার ভালই চলছিল চন্দ্রার (৪০)। কিন্তু স্বামী কিছু না জানিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে করে। আর তাতেই বাঁধে বিপত্তি। নারীরা সবকিছু দিতে চাইলেও স্বামীর ভাগ দিতে চায় না। তেমিন ঘটেছে ফজলের বেলায়ও। ফজল মিয়া বাড্ডার আদর্শনগরে পাশাপাশি দুটি টিনশেড বাসায় দুই স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে থাকতেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারী) ভোরে স্বামীর মাথায় আঘাত করে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে প্রথম স্ত্রী চন্দ্রা। এর পর সকাল ৯টার দিকে তিনি থানায় আত্মসমর্পণ করেন।

বাড্ডা থানার ওসি এম এ জলিল ওই স্ত্রী চন্দ্রার বরাত দিয়ে জানান, ‘গতকাল রাতে তারা ফজলের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসায় ছিলেন। রাতভর ঝগড়া শেষে ভোরে ফজল মিয়া ঘুমিয়ে পড়লে তিনি রান্নাঘর থেকে পাটা এনে ফজল মিয়ার মাথায় আঘাত করে। পরে ফজলের পুরুষাঙ্গ কেটে পলিথিনে মুড়িয়ে থানায় চলে আসেন।’

পরে পুলিশ আদর্শনগরের ওই বাসা থেকে রক্তাক্ত ফজল মিয়াকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানায়, ফজল আরও একটি বিয়ে করেছিলেন। তার তৃতীয় স্ত্রী ভারতে থাকেন। আর চন্দ্রাকে বেশি সময় দিতেন না। প্রায়ই তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া বাঁধতো।



মন্তব্য চালু নেই