জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ভাবীর আঘাতে দেবরের মৃত্যু হয়েছে বলে জানাগেছে। শুক্রবার দুপুরে ভাবী বিভা রানী ঘোষের আঘাতে দেবর প্রদীপ চন্দ্র ঘোষ (৪৫) মারা গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে পুলিশ দুই জনকে আটক করে।

পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে, পৌরসভার শিমলা বাজার এলাকার স্বর্গীয় রমেশ চন্দ্র ঘোষের পুত্র প্রদীপ চন্দ্র ঘোষ ও গবিন্দ চন্দ্র ঘোষের মধ্যে আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলছিল। বৃহঃবার বিকেলে প্রদীপ চন্দ্র ঘোষ ভাবী বিভা রানী ঘোষের কাছে পাওনা ৮ শত টাকা চাইতে গেলে দু‘জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গবিন্দ চন্দ্র ঘোষের স্ত্রী বিভা রানী দেবর প্রদীপ চন্দ্র ঘোষের পুরুষাঙ্গে লাথি মারে।

লাথির আঘাতে প্রদীপ চন্দ্র জ্ঞাণ হারিয়ে ফেলে। পরিবারের লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়। শুক্রবার সকালে আবারও উভয় পরিবারের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রদীপ চন্দ্র ঘোষ আবারও আহত হয়। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বিভা রানী ঘোষ ও পিযুশ চন্দ্র ঘোষকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

সরিষাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এস,আই) মতিউর রহমান বলেন, দেবরের লাথির আঘাতের ঘটনার অভিযোগে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জামালপুর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।

নিহতের স্ত্রী রেবেকা রানী ঘোষ বলেন, আমার স্বামীকে তার ভাবী বিভা রানী লাথি দিয়ে মেরে ফেলেছে।