পুরনো ৫০০ টাকার নোট থেকে জ্বলছে আলো, ঘুরছে পাখা : ছাত্রের আজব আবিষ্কার
গত ৮ নভেম্বর থেকে দেশে পুরনো ৫০০ টাকার নোট বাতিল হয়ে গিয়েছে। সীমাবদ্ধ কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহার করা গিয়েছিল পুরনো ৫০০-র নোট। এখন সেই ব্যবহারের সুযোগও গিয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে পুরনো ৫০০ টাকার নোট নিছক কাগজের টুকরোয় পরিণত হবে। কিন্তু এই পুরনো ৫০০-র নোট থেকেই বিদ্যুৎ তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ওড়িশার এক ছাত্র।
ওড়িশার নুয়াপাড়ার খড়িয়ার কলেজের ছাত্র লাচমান দুন্দির দাবি, পুরনো ৫০০ টাকার নোটে থাকা সিলিকন থেকে বিদ্যুৎ তৈরি সম্ভব। বিজ্ঞান বিভাগের ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার্থী লাচমান। তাঁর ব্যাখ্যা, সূর্যালোক কিংবা অন্য যে কোনও ধরনের আলোর উপস্থিতিতে পুরনো ৫০০ টাকার নোটে থাকা সিলিকন থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করা যেতে পারে। এর জন্য নোটের একদিকে একটি সিলিকন পাত লাগানোর প্রয়োজন হয়।
লাচমান জানাচ্ছেন, সূর্যের আলোতে একটি ৫০০ টাকার নোট মেলে ধরলে ৫ ভোল্টের মতো ইলেকট্রিসিটি তৈরি হতে পারে। এর জন্য একটি ট্রানসফর্মারের সঙ্গে একটি ইলেকট্রিক তার দিয়ে নোটটিকে সংযুক্ত করার প্রয়োজন হয়। এর ফলে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ দাঁড়ায় ২২০ ভোল্টের মতো। এই পরিমাণ বিদ্যুৎ একটি ইলেকট্রিক বাল্ব জ্বালাতে কিংবা একটি ফ্যান ঘোরাতে সক্ষম। ‘যদি এই বিদ্যুৎ একটি ব্যাটারিতে সঞ্চয় করা যায়, তাহলে ২৪ ঘন্টা আলো-পাখা জ্বালানোর উপযোগী বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব,’ জানাচ্ছেন লাচমান।
কোটামাল গ্রামের বাসিন্দা শ্রমজীবী পরিবারের সন্তান লাচমান আরও দাবি করছেন যে, মানুষের প্রস্রাব থেকে জেনারেটর চালানোর মতো এনার্জি প্রস্তুত করার কৌশলও তিনি আবিষ্কার করেছেন। বাজারে এলইডি বালব বিক্রি করে নিজের পড়াশোনার খরচ সংগ্রহ করা লাচমান বর্তমানে সরকারের সাহায্যের প্রত্যাশায় রয়েছেন।
লাচমান দাবি করছেন, পুরনো ৫০০ টাকার নোট থেকে প্রস্তুত বিদ্যুতের সাহায্যে এলইডি বাল্ব জ্বালিয়ে পরীক্ষা করার পরেই এই বিষয়ে তিনি নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। ওড়িশার কেন্দ্রপাড়া এলাকার শ্রী মা গার্লস হাই স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষক প্রভাতকুমার পারিজা এই প্রসঙ্গে জানান, সূর্যালোক থেকে বিদ্যুৎ প্রস্তুত হয় যে সোলার প্যানেলের সাহায্যে, তাতেও কয়েকটি আন্তরসংযুক্ত সিলিকন সেল ব্যবহার করা হয়। কাজেই পুরনো ৫০০ টাকার নোটে যদি সিলিকনের কোনও আস্তরণ থাকে, তাহলে সূর্যালোকের উপস্থিতিতে সেই সিলিকন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন নিতান্ত অসম্ভব নয়।
মন্তব্য চালু নেই