শরীয়তপুরের আংগারিয়া ইউনিয়নের চরচটাং গ্রামের মাদবর বাড়ির পুকুরে ধরা পড়েছে রূপালী ইলিশ মাছ। সাধারণত নদীতে ইলিশ মাছ জন্মায়। তবে গত কয়েকবছর ধরে পুকুরে এই মাছ চাষে গবেষণা চলছে।

শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে জেলে দিয়ে পুকুরে মাছ ধরার সময় জালের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ইলিশ মাছ উঠে আসে।

সরেজমিন জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের চরচটাং গ্রামে হাবিবুর রহমান মাদবরের ছেলে সাইফুল মাদবর দুই দিন আগে পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ধরতে যান। সেখানে মাছ ধরার সময় জালের সঙ্গে একটি বড় মাপের ইলিশ উঠে আসে। এতে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে পুকুরের মালিক হাবিবুর রহমান মাদবর কৌতুহলী হয়ে পুকুরে জেলে দিয়ে মাছ ধরেন। সেখানেও জালের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ইলিশ মাছ উঠে আসে।

এ ব্যাপারে হাবিবুর রহমান মাদবর বলেন, গতবছর মাছ চাষ করার জন্য আমার এই পুকুরটি ড্রেজার দিয়ে খনন করি। পরবর্তীতে আড়িয়াল খাঁ নদী থেকে দমকল দিয়ে পুকুরে পানি দেই। মনে হয় ওই দমকলের মাধ্যমেই ইলিশের রেনু এসেছে।

শরীয়তপুর জেলা মৎস কর্মকর্তা বলেন, মাছের সাইজ, সেপ এবং গন্ধ দেখে মনে হচ্ছে ইলিশ মাছ। এটা প্রকৃত ইলিশ কি-না তা প্রমাণের জন্য চাঁদপুর ইলিশ গবেষণা কেন্দ্র পাঠাতে হবে। প্রাথমিকভাবে পুকুরে ইলিশ মাছের চাষ সম্ভব কি-না তা নিয়ে গবেষণা চলছে। যদি পুকুরে ইলিশের চাষ সম্ভব হয় তাহলে আমরা এখান থেকেই যাত্রা শুরু করব।

তবে এবছরই প্রথমবারের মতো পুকুরে ইলিশের চাষ শুরু হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফিসের অর্থায়নে উপকূলীয় মৎস্য প্রকল্পের আওতায় বংশবিস্তারে পুকুরে ইলিশের চাষ করছে পটুয়াখালী মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র। পুকুরে ইলিশ চাষের এ প্রকল্প শতভাগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে আগামী তিনবছরের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে সারাদেশে ইলিশ চাষ করা সম্ভব। এতে জাতীয় অর্থনীতিতে ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ইলিশ আরো বড় ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন মৎস্য বিজ্ঞানীরা।