পিটি না করায় হাত ভেঙে দিলেন শিক্ষক
ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরে মো. সৈকত (৭) নামের দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে ডান হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। রোববার (৯ এপ্রিল) সকালে রাজাপুরের নারিকেলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এঘটনা ঘটে।
এঘটনায় শিশু সৈকত, তার বড় ভাই শাওন ও তার মা শামসুন্নাহার বেগম শিল্পী রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে উপস্থিত হয়ে সহকারি শিক্ষক উত্তম সরকারের বিরুদ্ধে লিখিত এ অভিযোগ করেন।
সৈকত উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম পান্নার ছেলে। সৈকতের বড় ভাই মো. রিফাত আহম্মেদ শাওন স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে দাবি করা হয়, গত ২ এপিল দুপুরে স্কুল ছুটি হলে স্কুলের শিশুরা বাড়িতে যাওয়ার জন্য ছুটোছুটি শুরু করলে সহকারি শিক্ষক উত্তম সরকার স্কুলের পিটি করানোর জন্য বেত দিয়ে শিশুদের এলোপাথারী পিটুনি শুরু করে। এতে সৈকত ডান হাত গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং কয়েকজন শিশু আহত হয়।
পরে শিশুরা পিটুনীর ভয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করলে ৪/৫ জন ছাত্র সৈকতের গায়ে পড়লে সৈকতের আঘাতপ্রাপ্ত ডান হাতের কনুর জোড়ার হাড্ডি ভেঙে রক্তাক্ত হয়ে যায়।
এ অবস্থায় শিক্ষক উত্তম সরকার সৈকতকে ধরে নিয়ে পিটিতে দাড় করিয়ে রাখে। পরে সৈকত মাটিতে পড়ে গেলে তাকে লাইব্রেরিতে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে এ ঘটনার কারণ জানতে চাইলে অভিভাবকদের সাথে শিক্ষক উত্তম সরকার ও শিক্ষক আয়শা বেগম অসৌজন্যমূলক আচরন ও দুর্ব্যবহার করে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থীর পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নারিকেলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক উত্তম সরকার জানান, পিটুনীতে হাত ভাঙেনি, পড়ে গিয়ে ভেঙেছে। তাছাড়া বিষয়টি মিমাংসা হয়েছে।
ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা জানতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কিং ফয়সালের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ইউএনও আফরোজা বেগম পারুল জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি, অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য চালু নেই