‘পাশ্চাত্য সংস্কৃৃতির কুফলেই সর্বত্র নারী ধর্ষন হচ্ছে’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, পাশ্চাত্যের অশ্লীলতা ও বেলোল্লাপনার অনুসরনে প্রচলিত শিক্ষার কুফল সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। ইদানিং প্রায় সকল জাতীয় মিডিয়ায় যে সংবাদটি সবচেয়ে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ হচ্ছে তা হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী যৌন নির্যাতন-নিপীড়ন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্বঃ, সিলেট শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়, ভিকারুন্নেসা নূন স্কুল এন্ড কলেজসহ দেশের প্রায় অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এধরণের ঘটনা মারাত্মক আকার ধারণ করছে। শিক্ষক নামধারী চরিত্রহীন লম্পটরাই প্রায় সময়ই ছাত্রীদের অনৈতিক কাজের আহ্বান করে থাকে। অনেক শিক্ষক পরীক্ষায় পাস করানোর লোভ দেখিয়ে ছাত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে এবং তাদের অনৈতিক কাজে সাড়া না দিলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার ঘটনাও আমাদের সমাজে বিদ্যমান।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সহশিক্ষার কুফল হচ্ছে ছাত্রী যৌন নির্যাতন ও নারী নির্যাতন। আমাদের দেশের জনশক্তির অর্ধেকের বেশি নারী। তাই নারীদের জন্য পৃথক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকলে এধরণের ঘটনা ঘটতো না। যেখানে পুরো ব্যবস্থাপনাই থাকবে নারীদের হাতে। তাছাড়া ইসলামী শরীয়তে ইসলামী পোশাক বা বোরকার গুরুত্ব অপরিসীম। যখন থেকে বোরকার বিরুদ্ধে আইন পাশ করা হয়েছে তখন থেকেই নারী নির্যাতন, ইভটিজিংয়ের ঘটনা আগের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। নারীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য কুরআনে বর্ণিত নীতিমালা প্রয়োগ করতে পারলে কোন ধরণের নারী নির্যাতন, সহিংসতা ও ইভটিজিংয়ের মত ঘটনা ঘটতো না।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী যৌন নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে ঐসকল শিক্ষককে অবিলম্বে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যেন কোন লম্পট এ ধরণের এধরণের অনৈতিক কর্মকান্ড না করতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই