পাবনায় কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি
কালবৈশাখী ঝড়ে আটঘরিয়া, পাবনা সদর ও আতাইকুলা থানার উঠতি ফসল, আম, লিচু গাছ ও ঘরবাড়ি ভেঙে লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কোটি টাকা হবে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেছেন।
এছাড়াও ঝড়ের সময় বজ্রপাতে চামেলী খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূ গুরুতর আহত হয়েছেন। চামেলী খাতুন আতাইকুলা থানার গোঁসাইপাড়া গ্রামের আব্দুল আওয়ালের স্ত্রী।
সোমবার সকাল ৬ টা থেকে এই কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়।
আটঘরিয়া উপজেলার বেবোত্তর গ্রাম থেকে মজিবর রহমান জানান, সকাল ৬টা থেকে এই কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলে এ ঝড়।
প্রচণ্ড ঝড়ে আটঘরিয়া থানার একদন্ত,চৌকিবাড়ী, গোপালপুর, ত্রিমোহন, পরানপুর হিদাশকোল সদর থানার গয়েশপুর, হামিদপুর, জোয়ারদহ, চকউগ্রগড়, জয়কৃষ্ণপুর, মৌগ্রাম, বেশ কয়েকটি গ্রামের ঘরবাড়ি, উঠতি পাকা ধান, লিচু ও আম গাছ ভেঙে গেছে।
জোয়ারদহ গ্রামের লিচু বাগানের মালিক আব্দুস সোবহান জানান, ঝড়ে তার বাগানের সব গাছ ভেঙে গেছে। এতে প্রায় আট থেকে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
চক উগ্রগড় গ্রামের আরশেদ আলী জানান, তার বাগানের প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এরকম চকউগ্রগড় গ্রামের আফতাই প্রামাণিক, আক্কাস আলী মাস্টার, আইয়ুব আলী, আব্দুল ওহাব মাস্টার, চৌকিবাড়ী গ্রামের খলিল বিশ্বাস, রকিবুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাকসহ শতশত লোকের ঘরবাড়ি ও লাখ লাখ টাকার আম লিচু বাগান ভেঙে লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে।
এসব এলাকার ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে তাদের এলাকায় কোটি টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের সময় অনেক স্থানে বৈদ্যুতিক তার ও খুঁটি ভেঙে ও হেলে বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে, আটঘরিয়া থানার পৌর এলাকার জালালের ঢাল গ্রামে হাসেম আলীর ছেলে আসলাম হোসেন (২৬) ঘরের নিচে চাপাপরে আহত হলে । পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই