পান্তা-ইলিশ খেয়ে ২২ জন হাসপাতালে

বাগেরহাটের কচুয়ায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পান্তা-ইলিশ খেয়ে অসুস্থ হয়ে ২২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার কচুয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় লেডিস ক্লাবে খাবার খাওয়ার পর তারা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এদের মধ্যে সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী রয়েছে।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি অসুস্থরা জানান, পহেলা বৈশাখে র‌্যালি শেষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে লেডিস ক্লাবে পান্তা ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে তারা বাড়িতে ফিরে যান। পরে পেটে ব্যাথা, বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি হন।

হাসপাতালে ভর্তিরা হলেন, কচুয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বুলু (৪০), প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের স্ত্রী সিনিয়র শিক্ষক শিরিনা খানম (৪৬), উপজেলা প্রশাসনের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী মহিদুল ইসলাম দিদার (৪৫), দেলোয়ার হোসেন (৩৩), শিক্ষার্থী বর্নালী হালদার (১৪), সাইদা (৬), ফাহমিদা (৭), মিম (১৩), জেসিকা (১০), তামিম শিকদার (১০), সৈকত (১৩), সাহিনুর (১২), আলআমিন (২১), বনি আমিন (৪৫), আল আমিন (৪৪), নুপুর (৪০), মিনা (৩৫), জোবেদা (৪৫), মফিজুল ইসলাম (৩৫), মর্জিনা বেগম (৩০), শামিমা (১৫) ও কাওসার (৩০)।

উপজেলা প্রশাসনের এই পান্তা ইলিশের আয়োজনের সঙ্গে ছিল, ডাল, আলু ভর্তা, চিংড়ি ভর্তা, বেগুন ভাজা।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সুত্রে জানা যায়, রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পেট ব্যাথা ও ডায়রিয়ার সমস্যাজনিত কারনে ২২ জন রোগিকে ভর্তি করা হয়েছে।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম বলেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় রাত থেকে ২২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। হাসপাতাল থেকে তাদের সব ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে। রোগীদের বাইরে থেকে স্যালাইন কেনার বিষয়ে তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে হয়তো স্যালাইন কিনতে হয়েছে। তবে আমরা জরুরি তহবিল থেকে স্যালাইন সরবরাহ করছি।

এদিকে, এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান হলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দেবেন্দ্রনাথ সরকার। অন্য সদস্যরা হলেন- কৃষি কর্মকর্তা শ্বাশত রাণী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাপস কুমার দাস। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই