পান্তার এতো গুণ !
রাত পোহালেই নববর্ষ। নতুন বছরকে উৎযাপনের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। ভোজন রসিক বাঙালি উৎসবের মেজাজে নতুন বছরকে বরণ করতে নিয়েছে নানা আয়োজন। আর বৈশাখের এই আয়োজনে পান্তা যেনো হয়ে উঠেছে অনবদ্য।
বছরের প্রথম দিনে সকালে ঘুম থেকে উঠে পান্তা খাওয়ার রেওয়াজ বহু প্রাচীন। পান্তার সঙ্গে লবণ, পোড়া মরিচ আর আলুভর্তায় স্বাদের পূর্ণতা পায় বাঙালি। কিন্তু অনেকেই আবার পান্তার চেয়ে ভাত খেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। পুষ্টিগুণের বিচারে পান্তা এবং ভাতের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই।
বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী,
>১০০ গ্রাম পান্তায় (১২ ঘণ্টা পর) ৭৩ দশমিক ৯১ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে, গরম ভাতে সেখানে মাত্র ৩ দশমিক ৪ মিলিগ্রাম।
>১০০ গ্রাম পান্তায় ৩০৩ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৮৩৯ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম এবং ৮৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। গরম ভাতে ক্যালসিয়াম মাত্র ২১ মিলিগ্রাম।
>প্রায় ১২ ঘণ্টা পানিতে ভিজে থাকায় স্বল্প অ্যালকোহলের উপস্থিতির জন্য পান্তা খেয়ে বেশ ঝিমুনি ভাব আসে। সবচেয়ে বড় কথা পান্তা শরীর ঠান্ডা রাখে এই গরমে।
ভাতের গুণাগুণ
> দেহে শক্তি জোগায়, মাংসপেশিকে বলিষ্ঠ করে।
>রোগ-জীবাণুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ায়।
>ভিটামিন ‘বি’ বেরিবেরি রোগ প্রতিরোধ করে।
>শরীরের স্নায়ুগুলোকে শক্তিশালী করে তোলে।
>ভাতের শর্করা দেহের প্রতিটি রক্তকণিকাকে করে বেশি কার্যকর।
পান্তার গুণাগুণ
>মানবদেহের জন্য উপকারী বহু ব্যাকটেরিয়া পান্তার মধ্যে বেড়ে ওঠে।
> পেটের পীড়া ভালো হয় এবং শরীরে তাপের ভারসাম্য বজায় থাকে।
>রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।
>অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সবল হয় এবং মেজাজ ভালো থাকে।
> অ্যালার্জিজনিত সমস্যা প্রশমিত হয় এবং ত্বক ভালো থাকে।
> সব রকম আলসার দূরীভূত হয়।
>শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
মন্তব্য চালু নেই