পানির নিচ দিয়ে চলা ড্রোন আসলে কি জিনিস?
পানির নিচ দিয়ে চলতে পারে এমন একটি মার্কিন ডুবো-যান – যাকে বলা হছে আন্ডারওয়াটার ড্রোন – চীনের হাতে আটক হবার পর এ নিয়ে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। আকাশে ওড়া ড্রোনের কথা এখন সবাই জানেন, কিন্তু পানির নিচেও যে ড্রোন চলে তা হয়তো অনেকেরই অজানা। খবর বিবিসির।
এই ডুবো-ড্রোন তাহলে কি জিনিস?
সহজ ভাষায়, এটি হচ্ছে এক ধরণের ক্ষুদে সাবমেরিন – যার ভেতরে কোন চালক নেই। মিলিটারি ডট কম নামে একটি ওয়েবসাইট বলছে, ২০১৫ সালের শেষ দিকে মার্কিন নৌবাহিনী এই আন্ডারওয়াটার ড্রোন মোতায়েন করা শুরু করে।
এগুলো রেডিও সিগন্যাল দিয়ে পরিচালিত হয় না – যেমনটা আকাশে ওড়া ড্রোনের ক্ষেত্রে হয়। বরং পানির নিচের ড্রোন চলে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে, এর ভেতরে বসানো কম্পিউটার এবং সেন্সর দিয়ে তা পরিচালিত হয়।
দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপিনের কাছে ওই আমেরিকান ডুবো-যানটিকে আটক করে চীনা নৌবাহিনী। আমেরিকা বলছে যানটি সেখানে বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজ করছিল।
মিলিটারি ডট কম সাইটকে রিয়ার এডমিরাল জোসেফ টোফালো বলেন, আনম্যানড আন্ডারওয়াটার ভেহিকল বা ইউইউভি -নামের এই ডুবো যান দিয়ে নানারকম ‘বিপজ্জনক, নোংরা এবং একঘেঁয়ে’ কাজগুলো করা হয়।
ব্লুফিন-২১ নামে এক ধরণের ড্রোন দিয়ে নিখোঁজ মালয়েশিয়ান বিমান এমএইচ৩৭০ অনুসন্ধানের কাজ চালানো হয়েছিল সাগরের ৫ হাজার ফিট নিচে।
এ ধরণের ড্রোন ১৯৫০এর দশক থেকেই কাজ করছে। মোট ২৫০ ধরণের ড্রোন এখন নানা কাজে লাগানো হচ্ছে। চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই অবশ্য এখন বলছে যে এই ড্রোনটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ফেরত দেয়া হবে।
যদিও ভাবী আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, চীন ড্রোনটা ‘চুরি করেছে’ এবং ওয়াশিংটনের বলা উচিত যে চীন চাইলে সেটা তাদের কাছেই রেখে দিতে পারে।
মন্তব্য চালু নেই