পাথরের বুক চিরে যেখানে বইছে উচ্ছ্বল জলরাশি
ইট-কাঠ-পাথরের শহুরে রুক্ষতা থেকে অনেক দূরে শস্য-শ্যামল এই প্রকৃতিতীর্থ৷ চারদিকে সবুজ শালের সমারোহ৷ আর মাঝে কালো পাথরের বক্ষ ভেদ করে সাপের ফণার মতো ফুঁসছে জলরাশি৷ বর্ষায় এই রূপেই ধরা দেয় বেলপাহাড়ির ঘাগরা৷
কী দেখবেন
বর্ষাই আদর্শ সময় ঘাগরা জলপ্রপাতের সৌন্দর্যের সাক্ষী হওয়ার৷ কালো পাথরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত বর্ষা পুষ্ট নদীর ঘোলা জলের খরস্রোতা রূপ যেন আরও চিত্তাকর্ষক হয়ে ওঠে৷
পাশেই এলোমেলো ভাবে গড়ে ওঠা জঙ্গলে বাস আদিবাসীদের৷ পর্যটকদের মুক্ত মনে স্বাগত জানান মাটির কাছের মানুষ গুলো৷
ঘাগরার এই জল স্থানীয়দের কাছে অত্যন্ত পবিত্র৷ পৌষ সংক্রান্তিতে আদিবাসী ও মাহাতো (কুর্মি) সম্প্রদায়ের লোকজন বাড়িতে টুসু পুজো করেন৷ পয়লা মাঘ হয় বিসর্জন৷ টুসু বিসর্জন উপলক্ষে মেলাও হয় এলাকায়৷
ঐতিহাসিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকা৷ ঘাগরা সংলগ্ন তারাফেনি অববাহিকা অঞ্চলে প্রাচীন জীবাশ্ম ও নব্য প্রস্তর যুগের অস্ত্রশস্ত্রের নিদর্শন মিলেছে৷
তবে বর্তমানে শাল-পিয়ালের এই বনে ভাগ্য ভাল থাকলে হাতিদের দর্শন পেতে পারেন৷
কীভাবে যাবেন
হাওড়া থেকে ঝাড়গ্রাম যেতে ট্রেনে সময় লাগে মাত্র তিন ঘণ্টা৷ সকাল ৬.৫৫ মিনিটে ছাড়ে ইস্পাত এক্সপ্রেস৷ ঝাড়গ্রাম থেকে ঘাগরার দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার৷
বেলপাহাড়ি থেকেও গাড়ি ভাড়া করে ঘাগরা যাওয়া যায়৷
কোথায় থাকবেন
থাকার ব্যবস্থা ঝাড়গ্রামেই পেয়ে যাবেন৷ ঝাড়গ্রাম পুরসভার বনানী অতিথি নিবাসটি বেশ ভাল থাকার জন্য৷ সেটি না পেলে আশেপাশে অনেক প্রাইভেট হোটেল কিংবা লজ পাওয়া যেতে পারে৷ যাওয়ার আগে ঝাড়গ্রাম পর্যটন অনুসন্ধান কেন্দ্রে ফোন করে প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিতে পারেন৷-সংবাদ প্রতিদিন
মন্তব্য চালু নেই