“পাঠ্যপুস্তকে নবীজী জীবনী বাদ দিয়ে রামের জীবনী সংযুক্ত করা হয়েছে”!

স্কুলের পাঠ্যবইয়ে সাম্প্রদায়িকতা উসকে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার প্রধান ইমাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ। তিনি বলেন, ‘পাঠ্যবই সম্পর্কে ওলামায়ে কেরামের উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে, আমিও উদ্বেগ প্রকাশ করছি। পাঠ্যবইয়ে এই সম্প্রদায়িক উসকানি সরকারের জন্য অশনি সংকেত।’

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিকেলে মালিবাগ চৌধুরী পাড়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার কার্যালয়ে সংগঠনটির উদ্যোগে ‘শিক্ষানীতি, ইহুদি ষড়যন্ত্র: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক ওলামা-মাশাইখ সমাবেশে ফরীদ উদ্দীন মাসউদ এসব কথা বলেন।

ফরীদ উদ্দীন মাসউদ বলেন, ‘পাঠ্যবইয়ের অসঙ্গতি শিশুমানসিকতার ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। নবীজী, আবুবকর, উমরের জীবনী বাদ দিয়ে রামের জীবনী সংযুক্ত করা হয়েছে। মুসলিম শিশুদের বোধ ও বিশ্বাসের কথা কেন বাদ দেওয়া হলো? অবিলম্বে শিক্ষানীতি ২০১০ ও শিক্ষা আইন ২০১৬-এর খসড়া পুনরায় কমিটি গঠন করে, তাতে আলেমদেরকেও সংযুক্ত করতে হবে। অন্যথায় মুসলমানদের ইমান নিয়ে কোনও ধরনের টালবাহানা এ দেশের তাওহিদি জনতা সহ্য করবে না।

ফরীদ উদ্দীন মাসউদ বলেন, ‘বাংলাদেশের অস্তিত্ব নিয়ে ইহুদি-মোসাদ চক্রান্তের জাল বিস্তার করেছে, বাংলাদেশের এগিয়ে চলার পথে বিশ্বসভায় দেশের অগ্রগতি রুদ্ধ করতে কুচক্রীরা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। নিজামীর ফাঁসিতে পাকিস্তানের উদ্বেগে আমি বিস্মিত নই। বরং আমি বলবো, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসিতে পাকিস্তানের আঁতে ঘা লেগেছে। পাকিস্তান প্রমাণ করছে – জামায়াত যে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ছিল কেবল তা নয়, এখনও তারা পাকিস্তানের স্বার্থেই কাজ করছে।’
এরদোয়ানের প্রতিক্রিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আল্লামা মাসউদ বলেন, ‘পাকিস্তানের শাসকরা কখনও ইসলামের বন্ধু ছিলো না। বাংলাদেশেরও বন্ধু নয়। এরদোয়ানকে বলবো, বাংলাদেশের মানুষের বেদনা বুঝতে চেষ্টা করুন। কারণ তুরস্ক বাংলাদেশের বন্ধু দেশ।’

মাওলানা মাসউদুল কাদিরের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য দিয়েছেন মাওলানা আবদুর রহীম। মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাইফীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আসআদ আল হুসাইনী, মাওলানা হোসাইন আহমদ, মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা আইয়ুব আনসারী, মাওলানা তাজুল ইসলাম কাসেমী, মাওলানা শরফউদ্দীন, মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ, মাওলানা আবুল হোসেন চতুলী, মাওলানা আবদুল আলিম ফরিদী প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই