বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখনই বাংলাদেশে স্বাধীনতা চাননি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সব সময় চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে।

শনিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, জিয়াউর রহমান রনাঙ্গনে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি মন থেকেই দেশের স্বাধীনতা চেয়েছেন।

আওয়ামী লীগ নয় বিএনপিই মুক্তিযুদ্ধের দল দাবি করে তিনি বলেন, ‘সুযোগ থাকার পরও শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি (শেখ মুজিব) যুদ্ধও করেন নাই, পাইপটাইপ নিয়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেছেন, ‘দেশের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের পেছনে আওয়ামী লীগের নিজের লোক জড়িত বলে তাদের ধরা হচ্ছে না। হয়তো তাদের দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য তিনি ট্যাংকের কথা বলেছেন। কিন্তু ট্যাংকতো চালায় সেনাবাহিনী। সিইসি একটা ‘অপদার্থ’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যখন পরিস্থিতি খারাপ দেখেন তখন তিনি মুখ খোলেন আর মাঝামাঝি কথা বলেন।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রলেপ লাগিয়ে আছে। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, বিদেশি কেউই তাদের কাছে নিরাপদ নয়। তাদের মনে কী আছে তা বলা কঠিন। আর বিএনপি কাজ দিয়ে প্রমাণ করে, সব ধর্মের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা আছে।’ এ সময় আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা দেশপ্রেমিক আছেন তাদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গঠনের কথাও বলেন তিনি।

এছাড়া, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বৌদ্ধ মন্দিরের ভিক্ষু মংশৈ উ চাককে হত্যার ঘটনায় বিএনপির প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে বলে জানান খালেদা জিয়া। তবে প্রতিনিধি দল পাঠানোর তারিখের ঘোষণা দেননি তিনি।

মতবিনিময় সভায় বিএনপির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে দলে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম, ধর্মবিষয় সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালকুদার, ঢাবির শিক্ষক সুকুমল বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।