পাকিস্তানি বৃদ্ধের কাছে চরম অপমানিত দীপিকা পাড়ুকোন!
এত অপমান নায়িকাকে কেউ আগে করেছেন বলে তো শোনা যায়নি! পরেও যে কেউ করতে পারেন, এমনটাও জোর দিয়ে বলা যাবে না! হয়েছে কী, সম্প্রতি আবুধাবির বাসিন্দা, এক পাক-তরুণী সম্প্রতি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে বেশ কিছু চাঞ্চল্যজনক টুইট করেছেন।
তার থেকেই জানা গিয়েছে এক পাকিস্তানি বৃদ্ধের কাছে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়েছেন নায়িকা। টুইটকর্ত্রী বেকি বেওয়াফা সেই বৃদ্ধেরই ভাগনি। বৃদ্ধের নাম জানা যায়নি। কেন না, সেটা ফাঁস করেননি ওই তরুণী। আগাগোড়া শুধু সম্বোধন করে গিয়েছেন ‘মামা’ বলে।
সেই টুইটের পরম্পরা বলছে, আবুধাবিতে এক পাঁচতারায় লিফটের ভিতরে প্রথম ওই তরুণী এবং তার মামার সঙ্গে দেখা হয় দীপিকার। বয়স্ক মানুষ দেখে দীপিকা সৌজন্যবশত কুশল জিজ্ঞাসা করেন। এবং, বুঝতে পারেন তাকে চিনে ফেলে ওই তরুণী রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু বয়স্ক ভদ্রলোকটি অদ্ভুত রকম ভাবলেশহীন। তার আচরণ বলছে তিনি দীপিকাকে চিনতে পারছেন না। ফলে, একটা অপরিচিত বাচ্চা মেয়ে হিসেবেই দীপিকাকে তিনি গ্রহণ করেছেন। পারিবারিক আভিজাত্য এবং গাম্ভীর্য বজায় রেখে তার সঙ্গে বিশেষ কথা বলারও প্রয়োজন বোধ করছেন না
ঘটনায় অবাক হয়ে যান দীপিকা! তার পরই ঘটে এক অদ্ভুত কাণ্ড! তরুণীর টুইটের দাবি, দীপিকা না কি এরপর ভদ্রলোকের কাছে হঠাৎ করেই নিজের গুরুত্ব প্রমাণের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তিনি আত্মপরিচয় দেন। একে একে বলতে থাকেন নিজের সব বিখ্যাত ছবির নাম। কিন্তু ভদ্রলোক একটাও ছবি দেখেননি। তাই শুকনো হেসে লিফট থামার পরে তিনি চুপচাপ চলে যান পাঁচতারার ডাইনিং হলে। পিছন পিছন যান নায়িকাও।
এরপর ওই ভদ্রলোক একা একটা টেবিলে গিয়ে বসেন। তার ভাগনি চলে যান অন্য কোথাও। দীপি্কা বসেন একটু দূরের টেবিলে। কিন্তু কিছুক্ষণ বসার পরেই তিনি না কি তার ম্যানেজারকে ডেকে পাঠান। বলেন, ওই ম্যানেজার যেন তার নায়িকা-মাহাত্ম্য জাহির করে ভদ্রলোককে দীপিকার টেবিলে নিয়ে আসেন। ম্যানেজার গিয়ে নিজের কাজ করেন ঠিকই! বেশ ঢাক পিটিয়েই জাহির করেন দীপিকা পাড়ুকোনের নামযশ। কিন্তু ওই ভদ্রলোক সব শোনার পরেও দীপিকার সঙ্গে কথা বলার জন্য একটুও উৎসাহ দেখাননি!
পরের দিন আবার লিফটে ওই ভদ্রলোক এবং তার ভাগনির সঙ্গে দেখা হয়ে যায় নায়িকার। মাঝে কেটে গিয়েছে একটি রাত। তাই একগাল হেসে জানতে চান দীপিকা- “এতক্ষণে নিশ্চয়ই আমি কে সেটা জেনে গিয়েছেন?” কিন্তু দীপিকাকে হতাশ করে স্রেফ দু’ দিকে মাথা নাড়েন ভদ্রলোক! এবং চুপ করে থাকেন! কোনও কথাই বলেন না!
আমাদের খটকা এক জায়গাতেই- ভদ্রলোক না হয় দীপিকাকে চেনেন না! কিন্তু তার ভাগনি তো চিনতে পেরেছিলেন! তিনিই তো মামাকে বুঝিয়ে বলতে পারতেন ব্যাপারটা! তা না করে তিনি কেন চুপ রইলেন? এ কি পাকিস্তানি নাগরিকের ভারতীয় নাগরিক হেনস্তা হওয়ায় আনন্দ? কে জানে!
মন্তব্য চালু নেই